মানুষ সম্পদকে পাহারা দেয় আর জ্ঞান মানুষকে পাহারা দেয়।যার সম্পদ নেই সে কি করবে
মানুষ সম্পদকে পাহারা দেয় আর জ্ঞান মানুষকে পাহারা দেয়।যার সম্পদ নেই সে কি করবে ?
বিশ্বের বুকে যখনই বাংলাদেশের নাম ইতিবাচক কোনো কারণে উচ্চারিত হয়, তখন নিশ্চয়ই গর্বে বুক ফুলে ওঠে। সেই সময়ে কখনো কি এমন হয় যে নিজে কিছু করে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে ইচ্ছে করে? কি কি করার সাধ জাগে? কেমন সেই অনুভুতিগুলো? ইতিবাচক কোন কারনে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হলে নিজের মধ্যে অদ্ভূত রকমের উল্লাস কাছ করে। নিজে নিজে বলে উঠি হ্যা আমরাও পারি, পারবো।কাছের মানুষ গুলোর সাথে আনন্দ নিয়ে কথাগুলো শেয়ার করি। সেই সাথে নিজের কিছু করার তাগিদ আর সাহস বহু আকারে বেড়ে যায়। সব সময়ই কিছু একটা করার ভাবনাটা থেকে যায়।
।।এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান ,জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে। চলে যেতে হবে আমাদের। চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ – প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য ক'রে যাব আমি-নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। অবশেষে সব কাজ সেরে, আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে করে যাব আশীর্বাদ, তারপর হব ইতিহাস।।
সাতদশক আগে একজন বাঙালি কবি পৃথিবীকে শিশুদের বাসযোগ্য করিয়া যাইবার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করিয়াছিলেন। পারিপার্শ্বিক অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে যে, আমাদের প্রিয় এই পৃথিবীটি ক্রমেই শিশুদের বসবাসের অযোগ্য হইয়া পড়িতেছে। খোদ জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) মন্তব্য করিয়াছে যে, ২০১৪ সাল ছিল বিশ্বব্যাপী শিশুদের জন্য ধ্বংসাত্মক একটি বত্সর। কারণ এই সময়ে ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষের শিকার হইয়াছে দেড় কোটি শিশু। শিহরিত হইবার মতো তথ্যই বটে। ইউনিসেফের প্রদত্ত তথ্যমতে, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইরাক, দক্ষিণ সুদান, ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও ইউক্রেনে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শিকার হইয়াছে হতভাগ্য এই শিশুরা। শুধু সিরিয়ার গৃহযুদ্ধই তছনছ করিয়া দিয়াছে ৭৩ লক্ষ শিশুর জীবন যাহার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের ঠাঁই মিলিয়াছে উদ্বাস্তু শিবিরে। আর প্রাণঘাতী সংঘাতের সার্বক্ষণিক ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করিতেছে আরও ২৩ কোটি শিশু
রোহিঙ্গাদের বর্তমানে "বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত সংখ্যালঘু" হিসাবে বর্ণনা করা হয়।মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার (দিইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস)আর্টিক্যালের সুনির্দিষ্ট ধারায় (১৫/২) বলা আছেÑ এভরিওয়ান হ্যাজ এ রাইট টু এ ন্যাশনালিটি। অর্থাৎ পৃথিবীতে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছে তার নাগরিকত্ব পাওয়ার মৌলিক অধিকার আছে। সেই নাগরিকত্ব কিন্তু কখনো কেড়ে নেওয়া যাবে না। রোহিঙ্গাদের জন্ম তো ভিন্ন কোন গ্রহে হয় নি। আমেরিকা,কানাডা ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন সহ সকলে উড়োজাহাজে জন্ম নেয়া শিশুর নাগরিকত্ব বিষয়ে একমত হয় শিশু যেই দেশে অবতরন করবে সেই দেশের নাগরিক।রোহিঙ্গারা যে মিয়ানমারে জন্ম সেই বিষয়ে কোন প্রকার দ্বিমত নেই।তাহলে মিয়নমার কে ছাড় দেয়ার বা তৈল মর্দন এর কারন কি? একটি বারএর জন্যতো বলা হয়না মিয়ানমার সন্ত্রাশী রাষ্ট্র।
কী বিভীষিকাময় একটি ছবি! মানবাধিকার, শিশু অধিকার প্রভৃতি লইয়া যখন বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আত্মতৃপ্তি ও আত্মশ্লাঘার কোনো শেষ নাই, ঠিক সেই মুহূর্তে মানবতার এই লজ্জা, এই গ্লানি আমরা কী দিয়া ঢাকিব?
পশ্চিমা বিশ্ব যথার্থই মানবাধিকারবাদের পথে তার সংগ্রামের জন্য গর্ববোধ করতে পারে, আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে স্টোয়িকদের পর থেকে মানবাধিকারবাদের ধারণার স্ফুরণ নির্দিষ্টভাবে খ্রিষ্টীয় সভ্যতার পরিমণ্ডলেই ঘটেছে। অবশ্য এই অগ্রগতির মাইলফলকগুলো হচ্ছে
১২১৫ সালে ম্যাগনাকার্টা লিবার্ট্যাটাম,
১৬৭৯ সালের হেবিয়াস কর্পাস অ্যাক্ট,
১৬৯৮ সালের ব্রিটিশ বিল অব রাটইস,
১৭৭৬ সালের আমেরিকান স্বাধীনতার ঘোষণা এবং
১৭৮৯ সালের ফরাসি ডিক্লারেশন অব হিউম্যান অ্যান্ড সিভিল রাইটস।
যা ইতোমধ্যেই প্রতিটি অর্ধশিক্ষিত মানুষের সাধারণ জ্ঞানের বিষয় হয়ে গিয়েছে। এর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবটি সুদূর প্রসারী। ধারণা প্রচার করা হচ্ছে যে, এই আন্দোলনের আইনগত অগ্রযাত্রা একটি বিশ্ব আদর্শ হিসেবে আত্মপ্রতিষ্ঠা প্রাপ্তির স্বভাবসিদ্ধ দাবিদার। তাদের বিশ্বাস, এটাই এই বিশেষ ক্ষেত্রে মানবজাতির ইতিহাসে চূড়ান্ত অগ্রগতি এবং তাদের তুলনায় বিশ্বের অবশিষ্টাংশ, বিশেষত ইসলামী বিশ্ব এখনো প্রায় বর্বর অবস্থায় রয়েছে, যদিও এ দাবি এবং দোষারোপের অন্তঃসারশূন্যতা সম্পর্কে তারা মোটেই সচেতন নয়।
এই পটভূমিতে পশ্চিমা বিশ্বের বিজয়াভিযানে দলিল হিসেবেই যেন রচিত হয়েছে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বরের ‘ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস অব দি ইউনাইটেড নেশনস’-এর ১৯৬৬ সালের ১৯ ডিসেম্বরের (ক) নাগরিক ও রাজনৈতিক এবং (খ) অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের ধারাসংবলিত দু’টি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যদিও এর কোনোটিই বাধ্যতামূলকভাবে প্রয়োগযোগ্য নয় তবুও অনেক মুসলিম রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই এগুলোকে আত্মীকরণের আনুষ্ঠানিক অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
মানবাধিকার প্রসঙ্গে সদস্য রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্ণনা করা হয়েছে। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার (দিইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস) ৪, ২০, ২৩, ২৪ ও ২৫ ধারায় কর্মীদের অধিকার স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের (ইন্টারন্যাশনাল কোভেন্যান্ট অন ইকোনমিক, সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল রাইটস
পানির অপর নাম জীবন এটা কি ঠিক! সেটা আগে বিবেচনা করি। ইথিওপিয়া, সোমালিয়া সহ আফ্রিকার অনেক পিছিয়ে পড়া দেশের অধিকাংশ শিশু'রা দুষিত পানি পান করে মারা যাচ্ছে। অর্থ্যাত এক্ষেত্রে পানি জীবন তো নয়ই বরং মরনকে ডেকে নিয়ে আসছে। পানিবাহিত রোগ সবচেয়ে বেশী পৃথিবীতে। বিশুদ্ধ পানি পান না করলে একজন মানুষ ধিরে ধিরে মৃত্যুমুখে পতিত হতে থাকে। তাই এটা সম্পূর্ণ আমার নিজের মতামত, পানির অপর নাম জীবানু হতে পারে আর জীবনের অপর নাম "মানবিকতা"। সম্পদ তা-ই, যার বুকভ্যালু রয়েছে বা যার রিফান্ড বা রিসেল ভ্যালু আছে। এ ক্ষেত্রে জনসঙখ্যা সম্পদ হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা-
অধিক জনসংখ্যা কোনো দেশের জন্যই সুখকর নয়। হোক সেটি অনুন্নত, উন্নয়নশীল কিংবা উন্নত দেশ। উন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রে অধিক জনসংখ্যা দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার আশঙ্কা থাকে। অর্থাত্ স্বল্প বা সংক্ষিপ্ত সময়ে জনসংখ্যার নৈতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান হয় না উন্নত দেশগুলোতে।
কারণ উন্নত দেশগুলোর রয়েছে পরিবেশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও উন্নতি। অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদ কি দীর্ঘমেয়াদ যে কোনোভাবেই অধিক জনসংখ্যা নৈতিবাচক প্রভাব ফেলে। পৃথিবীবাসী অধিক জনসংখ্যার ভারকে নেতিবাচক বা উন্নয়নের পথে একটি বড় বাধা হিসেবেই দেখে আসছে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে আজ অবধি। যুগ যুগ ধরে জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক উপায় ও পথ গ্রহণ করেছে পৃথিবীর উন্নত উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলো
বাংলাদেশের জন্য জনসংখ্যার এই অনুমেয় পরিমাণ কোনো ভয়ের কারণ নয়। কারণ বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের বেশি মানুষ বয়সে তরুণ। সাধারণ ও কর্মমুখি শিক্ষার মাধ্যমে তরুণদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে কাজে নিয়োগ করা গেলে জনসংখ্যাই হবে বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ। জনসংখ্যা সমস্যাকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে অর্থাত্ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষাকেই মূল প্যানাসিয়া বা নিয়ামক হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
আমাদের প্রতিদিন সকালটা হোক কোন না কোন সুসংবাদের মাধ্যমে- এ প্রত্যাশা সকলের।
দুঃখের পাখি টাকে উড়ে যেতে দাও , মাথায় বাসা বাঁধতে দিও না,
মানুষ সম্পদকে পাহারা দেয় আর জ্ঞান মানুষকে পাহারা দেয় ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:২০
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন