বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা দশ খেলোয়াড়
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা দশ খেলোয়াড়
- ১. ফ্লয়েড মেওয়েদার (বক্সিং): ১ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা

- ২. ম্যানি প্যাকিয়াও (বক্সিং): ১ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা

- ৩. লিওনেল মেসি (ফুটবল): ৪৩৮ কোটি টাকা

- ৪. ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ৩৯০ কোটি টাকা

- ৫. সেবাস্তিয়ান ভেত্তেল (ফর্মুলা ওয়ান): ৩৮৮ কোটি টাকা


- জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (ফুটবল): ২৭৩ কোটি টাকা


- ৬. ফার্নান্দো আলোনসো (ফর্মুলা ওয়ান): ৩১১ কোটি টাকা

- ৮. লুইস হ্যামিল্টন (ফর্মুলা ওয়ান): ২৪১ কোটি টাকা
- ৯. ক্লেটন কারশ (বেসবল): ২৪১ কোটি টাকা
- ১০. জাস্টিন ভারল্যান্ডার (বেসবল): ২১৮ কোটি টাকা
ঢাকা শহরের যানজট আর জলজটে আটকে আছেন। আষাঢ়ের ভারি বৃষ্টিতে ঘরবন্দি। এমন সময় মনে হয় না, যদি পারা যেত ইচ্ছেমতো ছুটতে! গতির নেশায় যদি মন মজাতে চান, তাহলে খেলতে বসুন ফর্মুলা ওয়ান ২০১৬।
বছর চারেক আগে মুক্তি পাওয়া হলিউড ছবি ‘রাশ’। ফর্মুলা ওয়ানের দুই কিংবদন্তি নিকি লাউডা আর জেমস হান্টের ব্যক্তিগত দ্বৈরথ নিয়ে বানানো ছবিতে একসময় হান্টের মুখে শোনা যায়, ‘আমরা স্টিলের কফিনে চেপে বসি। জানি না শেষ পর্যন্ত বেঁচে ফিনিশিং লাইনটা পার করতে পারব কি না। তবু বারবার এভাবেই স্টিয়ারিং চেপে বসি। কারণ গতির নেশা বড় মারাত্মক।’ সেই গতির উত্তেজনাটাই বিপদের আঁচের বাইরে থেকে উপভোগ করা যাবে কম্পিউটারের পর্দায়।
গাড়ির গেইম তো কতই আছে, তাহলে ফর্মুলা ওয়ানের এই গেইমটা কেন? কারণ এটাই যে বিশ্বের সবচেয়ে গ্ল্যামারাস, উত্তেজনাপূর্ণ আর মর্যাদার মোটর স্পোর্টস প্রতিযোগিতা। আর ‘এফ ওয়ান ২০১৬’ গেইমারকে নিয়ে যাবে এই রেসিং বাণিজ্যের অন্দরমহলে। যেখানে শুধু ককপিটে বসে স্টিয়ারিং ধরাটাই শেষ কথা নয়। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোডমাস্টার জানিয়েছে, নতুন এই গেইমে আছে ফর্মুলা ওয়ানের ১০টি গোটা মৌসুম। ক্যারিয়ার মোডে প্রথমে ছোট একটা রেসিং টিমের ট্রায়ালে সুযোগ মিলবে গেইমারের। ট্রায়ালে ভালো করে পাওয়া যাবে ম্যাকলারেন-হোন্ডার প্রথম পেশাদার কন্ট্রাক্ট। তাতে সই করে রেস কার ড্রাইভার হয়ে একে একে এগিয়ে যেতে হবে শীর্ষস্থানের দিকে। শিখতে হবে বিপজ্জনক বাঁক নেওয়া, গতি না কমিয়ে পাশ কাটানোসহ রেসিংয়ের খুঁটিনাটি। ভালো করলে বাড়বে রিসোর্স পয়েন্ট, তার বিনিময়ে গাড়ির নানা বৈশিষ্ট্য প্রয়োজনে বদলানো যাবে। এভাবেই গেইমার হয়ে উঠবেন একেকজন লুইস হ্যামিল্টন, সেবাস্তিয়ান ভেত্তেল, মাইকেল শুমাখার।
ফর্মুলা ওয়ান দেখতে যতটা আকর্ষণীয়, ঠিক ততটাই জটিল এর বিজ্ঞান। গাড়ি, টায়ার, ইঞ্জিনের নানা খুঁটিনাটি বৈশিষ্ট্যই সূক্ষ্ম তফাত গড়ে দেয়। গতিটা এত বেশি যে সেকেন্ডের ভগ্নাংশের হেরফেরই গড়ে দেয় বড় ব্যবধান। গেইমেও ঠিক তাই। ড্রাইভারের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারের সম্পর্কটা সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে গেইমে। তবে যত যা-ই হোক, ট্রেনিং ও সিমুলেশনের পরও টায়ারটা রেসট্র্যাক ছোঁয়ার আগে যেমন বোঝার উপায় নেই বাস্তবে কী হতে যাচ্ছে, গেইমেও সেই ধারণাটাই রাখা হয়েছে। যান্ত্রিক দক্ষতা যতই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত ড্রাইভারের দক্ষতাই গড়ে দেবে ব্যবধান। এটাই আসলে গেইমের মজার মূল জায়গাটা। এখানে আনাড়ির মতো গাড়ি চালিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। রেসিং তো চলবেই, সঙ্গে খাটাতে হবে মাথা। টায়ার কেমন হবে, ফুয়েল ট্যাংক বেশি ভারী করলে কমে যাবে গতি আবার হালকা রাখলে বেশি বেশি পিট স্টপ নিতে হবে। তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে গেইমারকেই। সেই সঙ্গে বাণিজ্য, স্পন্সর, জনপ্রিয়তা সব কিছুই আছে ক্যারিয়ারে। এসব মিলিয়ে রেস কার ড্রাইভারের জীবনটাই উপভোগ করা যাবে গেইমে।
খেলতে যা লাগবে
দ্রুতগতির এ গেইমটা খেলতে পিসির হার্ডওয়্যারও একটু ভারীই হতে হবে। ৬৪ বিট সংস্করণের উইন্ডোজ সেভেন, এইট অথবা টেন থাকতে হবে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে। প্রসেসর হতে হবে কোরআই থ্রি সিরিজের ৫৩০ অথবা এএমডির এফএক্স ৪১০০। র্যাম ৮ গিগাবাইট, গ্রাফিকস কার্ড এনভিডিয়া জিটিএক্স ৪৬০ অথবা এএমডিএইচডি ৫৮৭০। হার্ডডিস্কে ফাঁকা জায়গা লাগবে ৩০ গিগাবাইট। মাল্টিপ্লেয়ার খেলতে লাগবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন