পেরু দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম-মধ্য অঞ্চলে, প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র।

পেরু দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম-মধ্য অঞ্চলে, প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। পেরুর ভূগোলে চরম বৈপরিত্যের সহাবস্থান পরিলক্ষিত হয়। এখানে আছে জনবিরল মরুভূমি, সবুজ মরূদ্যান, বরফাবৃত পর্বতমালা, উচ্চ মালভূমি এবং গভীর উপত্যকা। দেশটির উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব বরাবর আন্দেস পর্বতমালা চলে গেছে। আন্দেস পেরিয়ে দেশের অভ্যন্তরে রয়েছে ঘন ক্রান্তীয় অরণ্য, যেখানে জনবসতি তেমন ঘন নয়। প্রশান্ত মাহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত লিমা দেশটির প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও রাজধানী।

পেরু অতীতে দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তৃত ইনকা সাম্রাজ্যের কেন্দ্র ছিল। ১৬শ শতকে স্পেনীয় বিজেতাদের হাতে ইনকা সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। আন্দেসের স্বর্ণ ও রূপার খনির আকর্ষণে স্পেনীয় খুব শীঘ্রই পেরুকে দক্ষিণ আমেরিকাতে তাদের সম্পদ ও শক্তির কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে। পেরু ১৯শ শতকের শুরুতে স্বাধীনতা লাভ করে।

পেরু অতীতে দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তৃত ইনকা সাম্রাজ্যের কেন্দ্র ছিল। ১৬শ শতকে স্পেনীয় বিজেতাদের হাতে ইনকা সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। আন্দেসের স্বর্ণ ও রূপার খনির আকর্ষণে স্পেনীয় খুব শীঘ্রই পেরুকে দক্ষিণ আমেরিকাতে তাদের সম্পদ ও শক্তির কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে। পেরু ১৯শ শতকের শুরুতে স্বাধীনতা লাভ করে।

পেরুর অর্থনীতিতে আজও খননশিল্প প্রধান ভূমিকা পালন করছে। তবে কৃষি, মৎস্যনিধন এবং পর্যটনও অর্থনীতির বড় অংশ। বহু পর্যটক ইনকা সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেরুতে বেড়াতে আসেন। বিশেষ করে আন্দেস পর্বতমালার উপরে মাচু পিচু খুবই জনপ্রিয়।

পেরুর বেশির ভাগ লোক ইনকা বা অন্য আদিবাসী আমেরিকান জাতির লোক। ইনকাদের ভাষা কেচুয়া ভাষা এবং এর সাথে সম্পর্কিত আরেকটি ভাষা আইমারা ভাষা স্পেনীয় ভাষার পাশাপাশি দেশটির সরকারি ভাষার মর্যাদা লাভ করেছে। তবে পেরুতে এখনও ঔপনিবেশিক শাসনামলে সৃষ্ট শ্রেণী ও জাতিগত বৈষম্য বিরাজমান। এই বিভক্ত সমাজে সংখ্যালঘু স্পেনীয় অভিজাত শ্রেণী দীর্ঘদিন যাবৎ সংখ্যাগুরু আদিবাসী আমেরিকান এবং দো-আঁশলা মেস্তিজোদের শাসন করে আসছে।
কোস্কো অথবা কুযকো কেচুয়া ভাষায় কুসকুলিখে এবং উচ্চরণ করা হয় আন্দেস পর্বতমালার উরুবাম্বা ভ্যালিরকাছে (পবিত্র ভ্যালি), দক্ষিণ-পূর্ব পেরুতে একটি শহর। কুজকো প্রদেশের মত, এটা কোস্কো অঞ্চলের রাজধানী। এটা কুজকোর নটের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এবং এর উচ্চতা প্রায় ৩,৪০০ মিটারের (১১,২০০ ফুট) কাছাকাছি। ২০০৫ সালের আদমশুমারী অনুসারে এর জনসংখ্যা ৩২৯,২০৩ জন।
কোস্কো ঐতিহাসিক ইনকা সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল এবং ইউনেস্কো ১৯৮৩ সালে একে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করে। এটা একটি প্রধান পর্যটক গন্তব্য স্থল এবং প্রতি প্রায় বছর ২ মিলিয়ন একে পর্যটক পরিদর্শন করে। এটা পেরুর সংবিধানে পেরু ঐতিহাসিক রাজধানী হিসেবে মনোনীত করা হয়।
চিত্র:Cuscoinfobox.png
এই শহরের আদিবাসী নাম ছিল “কুস্কু” (কেচুয়া ভাষায়)। এটি কেচুয়াতে ব্যবহৃত হয়, যদিও তার উৎপত্তি আইমারা ভাষায় পাওয়া গিয়েছে। আয়ার ভাইদের পৌরাণিক ভিত্তি অনুসারে, শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে “কুস্কু ওয়াঙ্কা”বাক্যংশ থেকে যার অর্থ হল (“পেঁচার পাথর”)। এই লোককাহিনী অনুযায়ী,  এক জোড়া ডানা পায় এবং ভবিষ্যত শহরের স্থান দিয়ে উড়ে এবং তার আয়ল্লু  এর জমির অধিকার চিহ্নিত করতে একটি শিলা রুপান্তরিত হয়।
ক্রিস্টোফ মিনোওউফের ছবি
করনিকচা, কুসো, পেরু
Colegota
স্যাক্সাহুয়ামান (স্যাক্সাহুমান), কুসো, পেরু
পেরুর কেন্দ্রীয় কুজকোতে প্লাজা দে আর্মাসে ক্যাথিড্রাল  টমাস কুইন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

২০০০ সালে এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৫৯০ দুর্ঘটনার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে কনকর্ড যুগের।

বাংলাদেশের সকল রাজবাড়ী ও জমিদার বাড়ীগুলির ইতিহাস ও বর্তমান অবস্হা কি (ভিডও সহ )