আইনের শাসনে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে নিচের দিকে

আইনের শাসনে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে নিচের দিকে

আইনের শাসনের দিক থেকে সবচেয়ে নিচে যে দেশগুলো আছে তার অন্যতম বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে নিচে আছে যে তিনটি দেশ তার মধ্যেও রয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ায় সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে কম্বোডিয়া। তার একধাপ ওপরে পাকিস্তান। আর বাংলাদেশ রয়েছে তার এক ধাপ ওপরে। এরপরে ঊর্ধ্বক্রম অনুসারে রয়েছে যথাক্রমে মিয়ানমার, ফিলিপাইন, চায়না, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুর।
ডাটালিডস প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। বিশ্বের মোট ১১৩টি দেশের ওপর তথ্যভিত্তিক ইনফোগ্রাফ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে আইনের শাসনের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০২ নম্বরে। ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট রুল অব ল ইনডেস্কের ওপর ভিত্তি করে এই ডাটা উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে এশিয়ায় আইনের শাসনের দিক দিয়ে সবচেয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সিঙ্গাপুর। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জাপান ও তৃতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে ভারতের অবস্থান ৮ নম্বরে। সারাবিশ্বের হিসাবে সিঙ্গাপুর রয়েছে ওই সূচকের ১৩ নম্বরে। সাধারণ মানুষ আইনের শাসন বিষয়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন সেটাই এ রিপোর্টের বিবেচ্য বিষয়। মোট ১১৩টি দেশের ভিতরে জাপানের অবস্থান ১৪ নম্বরে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান ২০তম। উল্লেখ্য, গত দু’দশক ধরে অব্যাহতভাবে গণতান্ত্রিক ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে মঙ্গোলিয়া। তাই ১১৩টি দেশের মধ্যে তাদের অবস্থান ৫১তম। এ জন্যই এশিয়ার শক্তিধর দেশ ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া সহ অনেক দেশকে পিছনে ফেলে গিয়েছে মঙ্গোলিয়া। এর আগের সূচকের চেয়ে ৯ ধাপ এগিয়েছে শ্রীলংকা। ফলে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে শ্রীলংকায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

২০০০ সালে এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৫৯০ দুর্ঘটনার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে কনকর্ড যুগের।

বাংলাদেশের সকল রাজবাড়ী ও জমিদার বাড়ীগুলির ইতিহাস ও বর্তমান অবস্হা কি (ভিডও সহ )