আওয়ামী লীগে ছড়াছড়ি বিএনপি চায় পুনরুদ্ধার (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া)



আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫১ আসনে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। সরকারি-বেসরকারি একাধিক জরিপের মাধ্যমে নামগুলো বাছাই করা হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য এ ১৫১ প্রার্থী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চূড়ান্ত তালিকায় যারা রয়েছেন তাদের অনেককেই ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে মনোনয়নের বিষয়টি জানিয়ে নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ করতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে।


আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে আসনভিত্তিক একাধিক জরিপ করা হয়। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা, দলীয় বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে জরিপগুলো চালানো হয়েছে। সব জরিপের ফল একসঙ্গে বিশ্লেষণ করে কিছু আসনের প্রার্থী প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। যেসব আসনে মনোনয়ন পরিবর্তন হতে পারে এখন ওই আসনগুলো নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে।

ময়মনসিংহে ১১টি আসনে শাসক দল আওয়ামী লীগে মোট ৭৩ জন প্রার্থী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ১৯ সালের সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এসব প্রার্থীরা এরই মাঝে এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন।

স্ব স্ব এলাকায় শোভা পাচ্ছে এসব প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, ফ্যাস্টুন। প্রার্থীরা তুলে ধরছেন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের চিত্র। দলীয় নেতাকর্মীদের পক্ষে নিয়ে নিজের পাল্লা ভারী করতে চালাচ্ছেন নানা কর্মকান্ড। মনোনয়ন বাগাতে এসব প্রার্থীরা মাঠের পাশাপাশি নানাভাবে কেন্দ্রের লবিংও জোরদার করে চলছেন। অনুসন্ধানে আসন অনুযায়ী প্রার্থীদের তালিকা ও কর্মকান্ড নিয়ে তৈরী করা হয়েছে এ প্রতিবেদন। নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে প্রার্থীর তালিকা আরো লম্বা হতে পারে বলে স্থানীয় নেতাদের ধারণা।
 
(হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া): সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া এ দুই উপজেলা নিয়ে ময়মনসিংহ-০১ আসন। এ আসনে বর্তমান এমপি উপজাতি সম্প্রাদায়ের নেতা হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য জুয়েল আরেং, হালুয়াঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খান, হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কবিরুল ইসলাম বেগ, ধোবাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মজনু মৃধা, ধোবাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মান্নান আকন্দ, ধোবাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট পীযুষ কান্তি সরকার।


জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও সংসদের বাইরের বিরোধী দল বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জিং মনে করে মাঠে নেমেছে যোগ্য প্রার্থীর সন্ধানে। কেবল যোগ্যপ্রার্থী নির্বাচনই নয়, তাদের নির্বাচনী বৈতরণী পার করার ওপর নির্ভর করছে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি’র ক্ষমতার পালাবদলের গতিপ্রকৃতি।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সুবাদে এনএসআই-জিডিএফআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। পাশাপাশি দলীয় বিশস্ত নেতাকর্মী দিয়েও জরিপ করছে আওয়ামী লীগ। পক্ষান্তরে বিএনপিও তাদের জরিপ দলের মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছে কে এলাকায় জনপ্রিয়। অতীত ও বর্তমানে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে যারা রাজপথে ছিল এবং দলের প্রতি যারা অনুগত, তাদের বিষয়গুলো প্রাধান্য দিচ্ছে বিএনপি। ব্যক্তি ইমেজ, স্বচ্ছতা, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, এলাকায় জনপ্রিয়তা, মাঠে কর্মকান্ড, জনসম্পৃক্ততা নানা দিক বিবেচনায় রাখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ।

দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো ময়মনসিংহেও চলছে নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক নানা কর্মকান্ড। কেন্দ্রের পাশাপাশি মাঠের নেতারাও সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নিজেদের সম্পৃক্ত রেখে মনোনয়ন দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন।ময়মনসিংহের ১১টি সংসদীয় আসনে খোঁজ খবর নিয়ে এসব আসনে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, দলের হাই কমান্ড ও স্থানীয় পর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে বের করা হয়েছে এ তালিকা। তথ্যানুযায়ী ময়মনসিংহে ১১টি আসনে শাসক দল আওয়ামী লীগের মোট ৬৬ জন সম্ভাব্য প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন।সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এসব প্রার্থীরা এরই মাঝে এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। স্ব স্ব এলাকায় নানা উপলক্ষে পোষ্টার ব্যানার ফ্যাষ্টুন দেয়াসহ নানা কর্মকান্ড চালাচ্ছেন এসকল প্রার্থীরা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রার্থীরা তুলে ধরছেন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের চিত্র।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত সীমান্তবর্তী ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনটি পরিচিত আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নৌকার হাল ধরতে চাইছেন হাফ ডজনের বেশি প্রার্থী। অন্যদিকে, সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে সংগঠিত হয়ে আসনটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে বিএনপি।


স্বাধীনতার পর এ আসন থেকে পাঁচবার আওয়ামী লীগ, দু'বার বিএনপি ও একবার জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন। এখান থেকে প্রয়াত অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চারবার সাংসদ হন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ২০১৬ সালে প্রমোদ মানকিনের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হন তার ছেলে জুয়েল আরেং। বাবার ক্লিন ইমেজ কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছেন তিনি। আগামী নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এ আসন আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত। বাবার অবস্থান ধরে রাখতে দলে ও মাঠে কাজ করছেন তিনি; ভূমিকা রাখছেন বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে। সমকালকে তিনি বলেন, দলের জন্য কাজ করছি। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি। দল মনোনয়ন দিলে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে জানান তিনি।

এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে আরও রয়েছেন- হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দলের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ খান, ময়মনসিংহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, দলের হালুয়াঘাট উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কবিরুল ইসলাম বেগ, দলের ধোবাউড়া উপজেলা শাখার দীর্ঘদিনের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান আকন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ধোবাউড়া মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন এবং ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজনু মৃধা।

৪৫ বছর ধরে জেলা ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ফারুক আহমেদ খান নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, এলাকার প্রবীণ রাজনীতিক হিসেবে তিনি চাইছেন, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সাংসদ নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে। বর্তমানেও তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা চালাচ্ছেন। দল যোগ্য মনে করলে এবং মনোনয়ন দিলে এ আসনে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মনোনয়নপ্রত্যাশী আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। এখনও জনগণের সঙ্গে রয়েছেন। এলাকার স্বার্থে তিনি চান, এমপি হয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম করতে। সে লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

দলের নেতাকর্মী ও জনগণের সেবা করার জন্য সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শাখার আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কবিরুল ইসলাম বেগ। এ লক্ষ্যে তিনি দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।

ময়মনসিংহ-১ আসনে হালুয়াঘাটের সঙ্গে যুক্ত ধোবাউড়া উপজেলা। একসময় ধোবাউড়া নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে ময়মনসিংহ-১ আসনে কখনও ধোবাউড়ার কেউ মনোনয়ন পাননি এবং সাংসদ হননি বলে এ এলাকার অধিবাসীদের আক্ষেপ রয়েছে। এ উপজেলার প্রবীণ রাজনীতিক স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান আকন্দ জানান, দলের জন্য কাজ করার পাশাপাশি ১৯৮৬ সাল থেকে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। তাকে মনোনয়ন দিলে নৌকার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

স্থানীয় উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন জানান, তিনি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতিতে যুক্ত আছেন। এবারও তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

মনোনয়নপ্রত্যাশী ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজনু মৃধা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। গত সংসদ নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তিনি জানান, নৌকা মার্কার বিজয়ের জন্য কাজ করছেন। তাই মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেও দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যেই কাজ করবেন।

অন্যদিকে, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিতেও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন নবীন-প্রবীণ নেতারা। দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে জোর তৎপর তারা। তবে এ দলের স্থানীয় নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে দ্বন্দ্ববিরোধও রয়েছে বলে জানা গেছে, যার প্রভাব স্থানীয় সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যেও পড়েছে। এসব স্থানীয় বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে ২০১৪ সালে এখানে ১২৮ সদস্যের উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের কিছুদিন পরই নেতাকর্মীদের দাবির মুখে কমিটির তিন মূল নেতা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফজাল এইচ খান, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও আলী আজগর একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাত ধরে দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। যদিও এখনও এ আসনে বিএনপি তিনটি ধারায় বিভক্ত রয়েছে।

বিএনপি থেকে এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সাংসদ আফজাল এইচ খান বলেন, তিনি ফেসবুক প্রচারে বিশ্বাসী নন- তাই এলাকায় সরাসরি কাজ করছেন। দলের ৪০-৪৫ হাজার নেতাকর্মীর সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। প্রায়ই তিনি সাংগঠনিক কাজে এলাকায় যান। মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, এ আসন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে তারা কাজ করে চলেছেন। এ লক্ষ্যে প্রশাসন ও সরকারদলীয় নানা বাধা উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচি ও সভা-সমাবেশ করছেন। ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বে থাকায় তিনি দলের বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে প্রায়ই ময়মনসিংহে অবস্থান করেন।

প্রিন্স জানান, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ায় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। পুলিশ ও সরকারের বাধা উপেক্ষা করে দলীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, সভা-সমাবেশ, সদস্য সংগ্রহ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিপরীতে যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন পেলে নৌকার এ আসন ধানের শীষের হবে বলে তিনি জানান।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আজগর বলেন, জনগণের পাশে ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকব। দল তাকে মনোনয়ন দিলে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ ছাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টিও নির্বাচন সামনে রেখে সাংগঠনিক কাজ করছে। এরই মধ্যে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম পাপ্পু নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন।
ময়মনসিংহ-১ আসন হালুয়াঘাট উপজেলার ১২টি ও ধোবাউড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার তিন লাখ ৭১ হাজার ৩৩৮ জন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

২০০০ সালে এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৫৯০ দুর্ঘটনার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে কনকর্ড যুগের।

বাংলাদেশের সকল রাজবাড়ী ও জমিদার বাড়ীগুলির ইতিহাস ও বর্তমান অবস্হা কি (ভিডও সহ )