নয়াদিল্লিতে বায়ুদূষণের ফলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ হাজারের কাছাকাছি মানুষ৷
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বায়ুদূষণের কথা বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে৷ কিন্তু নয়াদিল্লিতে বায়ুদূষণের কারণে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের এক সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে নয়াদিল্লিতে বায়ুদূষণের ফলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ হাজারের কাছাকাছি মানুষ৷
তবে বায়ুদূষণে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘঠেছে চিনে। বায়ুদূষণে প্রায় ১৮ হাজার ২শ’ জনের মৃত্যু হয়েছে চিনের রাজধানী বেইজিংয়ে৷ চিনের সাংহাইয়ের মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ হাজার ৬শ’ জন৷ সমীক্ষা অনুযায়ী বায়ুদূষণে বিশ্বে মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষ দুটি স্থানই দখল করেছে চিনের দুই শহর৷ প্রথম স্থানে রয়েছে বেইজিং৷ দ্বিতীয় স্থানে সাংহাই৷ বেইজিং ও সাংহাইয়ের পর তৃতীয় স্থানেই রয়েছে নয়াদিল্লি৷
বায়ুদূষণে মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে নয়াদিল্লির অবস্থান তৃতীয় হলেও, ভারতের হিসাবে প্রথমে রয়েছে রাজধানীর নাম৷ দ্বিতীয় স্থানেই মুম্বাই৷ যেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ৫০০ জন৷ তার ঠিক পরেই তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা৷ তিলোত্তমায় বায়ুদূষণে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৩০০জনের৷ বায়ুদূষণের ফলে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ে ৪ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ যুগ্মভাবে সমীক্ষা রিপোর্টে চতুর্থ স্থান পেয়েছে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণের সমস্যা সবচেয়ে বেশি রয়েছে চিন, ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে৷
বায়ুদূষণের জেরে বর্তমান সময়ে ধোঁয়াশার সমস্যা বাড়ছে বলেই উল্লেখ রয়েছে সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের রিপোর্টেও৷ বায়ুদূষণের মারাত্মক প্রভাব পড়ছে মানবদেহেও৷ বাড়ছে ক্যানসার, হৃদরোগ, ফুসফুসজনিত রোগের প্রবণতা৷ এমনকী বায়ুদূষণের প্রভাবে গর্ভস্থ ভ্রূণেরও ক্ষতি হচ্ছে৷
সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের এই সমীক্ষার রিপোর্টে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা৷ সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের ডিরেক্টর অনুমিতা রায় চৌধুরি বলেন, ‘‘মানবসভ্যতার কাছে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বায়ুদূষণ৷ সমস্যা রোধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে৷ আশা করব, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করবে৷
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন