রাজাকারের উত্তরসূরিদের কোনো রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেওয়া হবে না: শেখ হাসিনা
রাজাকারের উত্তরসূরিদের কোনো রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেওয়া হবে না: শেখ হাসিনা
স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরসূরিরা যেন কোনো প্রকার সুযোগ সুবিধা না পায় সেটি নিশ্চিত করার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এটি নিশ্চিত করতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে যারা কাজ করেছিল সেসব রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যদের তালিকা চেয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাযনির্বাহী সংসদের সভায় কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে আলোচনা করেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন মূলত মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধী বলে বলে সভায় মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। কোটা সংস্কার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায় থাকায় ও তার রাজনৈতিক দর্শনের কারণে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখে বাকিগুলো সংস্কার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। সেটা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ দেওয়া যাবে না। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখে দরকার হলে অন্যান্য কোটা সংস্কার করা যেতে পারে।’
সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন কোটা সংস্কার ইস্যুটি উত্থাপন করলে এই বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়।
আলোচনার এক পর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগেরও ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ করেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের সম্মেলন ঠেকানোর জন্য সংগঠনের একটি অংশ এ আন্দোলনে ইন্ধন দিয়েছিল।’
কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়েও আলোচনা হয়। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের শুরুতেই আমি বিভাগীয় পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসব। সেখানে মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।’ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামত নিয়েই প্রার্থী বাছাই করা হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় অন্তর্দলীয় কোন্দল মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশও দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের খালি পদ পূরণে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকেও নির্দেশনা দেন।
সভায় বিরোধী দল বিএনপিকে নিয়েও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের কাছে ভোট চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ‘ব্লেম গেমে’ নেমে পড়েছে চলে মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে ১৭ জুলাই রাজশাহীর সাগরপাড়া এলাকায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নির্বাচনী পথসভায় বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে রাহশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুর গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাঁরা যখন দেখল যে, জনগণের কাছে গিয়ে সাড়া পাচ্ছে না, তখন একটা ব্লেম গেম শুরু করল এবং হাতেনাতেই ধরা পড়ল।’
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন