পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ বৈকাল, জানুন রাশিয়ার রহস্যময় বৈকাল হ্রদের বিষ্ময়কর কাহিনী!
বৈকাল হ্রদের অবস্থান, আয়তন ও উৎপত্তি

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নিদর্শন হিসেবে লেক বা হ্রদ এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। লেক হল বদ্ধ জলাশয়, যা নদীর মত প্রবাহিত হয়ে অন্য নদী বা সাগরের সাথে মিশে না। কিন্ত কিছু কিছু সময় এই লেক বা হ্রদ নদীর চেয়ে বড় হতে পারে। পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ বৈকাল তারমধ্যে একটি। এই হ্রদ যেমন বিশ্ববিখ্যাত তেমনি তার সম্পর্কে যে তথ্য আছেতাও সকলের নজর কারতে সক্ষম। বৈকাল সম্পর্কে জানা অজানা সকল তথ্য ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নিদর্শন হিসেবে লেক বা হ্রদ এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। লেক হল বদ্ধ জলাশয়, যা নদীর মত প্রবাহিত হয়ে অন্য নদী বা সাগরের সাথে মিশে না। কিন্ত কিছু কিছু সময় এই লেক বা হ্রদ নদীর চেয়ে বড় হতে পারে। পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ বৈকাল তারমধ্যে একটি। এই হ্রদ যেমন বিশ্ববিখ্যাত তেমনি তার সম্পর্কে যে তথ্য আছে তাও সকলের নজর কারতে সক্ষম। বৈকাল সম্পর্কে জানা অজানা সকল তথ্য ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নিদর্শন হিসেবে লেক বা হ্রদ এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। লেক হল বদ্ধ জলাশয়, যা নদীর মত প্রবাহিত হয়ে অন্য নদী বা সাগরের সাথে মিশে না। কিন্ত কিছু কিছু সময় এই লেক বা হ্রদ নদীর চেয়ে বড় হতে পারে। পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ বৈকাল তারমধ্যে একটি। এই হ্রদ যেমন বিশ্ববিখ্যাত তেমনি তার সম্পর্কে যে তথ্য আছেতাও সকলের নজর কারতে সক্ষম। বৈকাল সম্পর্কে জানা অজানা সকল তথ্য ।
বৈকাল হ্রদের অবস্থান, আয়তন ও উৎপত্তি
রাশিয়ার সাইবেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৈকাল হ্রদের অবস্থান। এর উত্তর-পশ্চিম অংশ ইর্কুৎস্ক ওবলাস্ত এবং দক্ষিণ-পূর্ব অংশ বুরিয়াত প্রজাতন্ত্রে পড়েছে। বৈকালের আয়তন ৩১,৫০০ বর্গকিলোমিটার, দৈর্ঘ্য ৬৩৬ কিলোমিটার ও প্রস্থ প্রায় ৮১ কিলোমিটার। তবে এটি প্রায় ৫ লক্ষ ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা অধিগ্রহণ করে আছে। এর গড় গভীরতা ৭৪৪ মিটার বা ২,৪৪২ ফুট। আর সর্বোচ্চ গভীরতা ১,৬৪২ মিটার বা ৫,৩৮৭ ফুট। এই বিশাল হ্রদটি কৃত্রিমভাবে তৈরি কোন হ্রদ নয়। বৈকাল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট। ধারনা করা হয়-প্রায় ২৫/৩০ মিলিয়ন বছর পূর্বে ঐ অঞ্চলের শিলাখন্ডের মধ্যে বড় ধরনের চ্যুতির ফলে বৈকালের অংশ নিচু হয়ে হ্রদের সৃষ্টি হয় আর তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল পাহাড়ের রূপ ধারণ করে। এর পর কালের বিবর্তনে বর্তমানের রূপ ধারণ করে।
বৈকালের সম্পদ সমৃদ্ধতা
বৈকাল নামটিই এসেছে তিইউরস্কি ভাষার ‘বাই-কুল’ আঞ্চলিক শব্দ থেকে। যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘সম্পদশালী হ্রদ’। সম্পদের বিবেচনায়ও এটি পৃথিবীর অন্যতম হ্রদ। পৃথিবীর খাবার যোগ্য বিশুদ্ধ পানির ১৯ ভাগই এই হ্রদে অবস্থিত। এবং এর পানি এতটাই স্বচ্ছ যে খালি চোখে ৪০ মিটার পর্যন্ত পানির নিচের বস্তু অনায়েশে দেখতে পাওয়া যায়। বৈকালের পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্রও নজর কাড়ার মতো। কারণ বৈকাল অঞ্চলে প্রায় ১৭০০ প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে যার দুই-তৃতীয়াংশই পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। বৈকালের তলদেশে রয়েছে ওমূল, গোলেমিংকা, স্যামন প্রভৃতি মাছ এবং নানাজাতের শামুক, শ্যাওলা প্রভৃতি প্রজাতি যা অত্যন্ত মূল্যবান ও কোন কোন ক্ষেত্রে অন্যত্র বিরল। বৈকালের নিচে রয়েছে আরো বহু প্রকারে প্রাকৃতিক সম্পদ।
জানুন রাশিয়ার রহস্যময় বৈকাল হ্রদের বিষ্ময়কর কাহিনী!
বৈকালের নজরকাড়া সব তথ্য
বৈকালের সাথে প্রায় ৩৬০ নদী একত্রিত হয়েছে। এদের পানি প্রবাহিত হয়ে বৈকালে এসে পতিত হয়। এদের মধ্যে মঙ্গোলিয়ায় উৎপত্তি লাভ করা সেলেঙ্গাই সবচেয়ে বড়, যার আয়তন ১০২৪ বর্গকিলোমিটার। অন্যদিকে মাত্র একটি মাত্র নদীতে বৈকালের পানি পতিত হয়, যার নাম আঙ্গারা। বৈকালের মধ্যে ছোট-বড় প্রায় ৩০টি দ্বীপ রয়েছে, যার মধ্যে সর্ববৃহৎ দ্বীপটি হল “ওলখন”। এ দ্বীপটির দৈর্ঘ্য ৭১ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৪ কিলোমিটার। এই দ্বীপটিতেই সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম দেখা যায়। এবং এখানে স্থায়ীভাবে প্রায় ২ হাজার মানুষ বসবাস করে।
গ্রীষ্মকালে এখানকার গড় তাপমাত্রা থাকে ১৪ ডিগ্রী আর শীতকালে এই তাপমাত্রা -১৯ (অর্থাৎ শূন্যের নিচে ১৯ ডিগ্রী) তে নেমে যায়। যার ফলে এ সময় সমগ্র বৈকাল বরফের আস্তরণে ঢেকে যায়। তার এই আস্তরণ এতটাই শক্ত ও পুরু হয় যে-এর উপর দিয়ে ১৫ টন ওজনের গাড়ী অনায়েশে চলে যায়। ফলে এর উপর দিয়ে হাটা-চলা ও স্ক্যটিং করে চলা যায়। এবং বৈকালের পানি অতিরিক্ত স্বচ্ছ হবার কারণে বরফের আস্তরণের উপর দিয়ে ভিতরের চিত্র স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ফলে বৈকালের তলদেশের মাছের বিচরণ করা ও সবুজ পাথরের দৃশ্য পর্যটকদেরকে ব্যাপকভাবে আকর্ষণ করে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নিদর্শন হিসেবে লেক বা হ্রদ এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। লেক হল বদ্ধ জলাশয়, যা নদীর মত প্রবাহিত হয়ে অন্য নদী বা সাগরের সাথে মিশে না। কিন্ত কিছু কিছু সময় এই লেক বা হ্রদ নদীর চেয়ে বড় হতে পারে। পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ বৈকাল তারমধ্যে একটি। এই হ্রদ যেমন বিশ্ববিখ্যাত তেমনি তার সম্পর্কে যে তথ্য আছে তাও সকলের নজর কারতে সক্ষম। বৈকাল সম্পর্কে জানা অজানা সকল তথ্য থাকছে আজকের পর্বে।
বৈকাল হ্রদের অবস্থান, আয়তন ও উৎপত্তি
রাশিয়ার সাইবেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৈকাল হ্রদের অবস্থান। এর উত্তর-পশ্চিম অংশ ইর্কুৎস্ক ওবলাস্ত এবং দক্ষিণ-পূর্ব অংশ বুরিয়াত প্রজাতন্ত্রে পড়েছে। বৈকালের আয়তন ৩১,৫০০ বর্গকিলোমিটার, দৈর্ঘ্য ৬৩৬ কিলোমিটার ও প্রস্থ প্রায় ৮১ কিলোমিটার। তবে এটি প্রায় ৫ লক্ষ ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা অধিগ্রহণ করে আছে। এর গড় গভীরতা ৭৪৪ মিটার বা ২,৪৪২ ফুট। আর সর্বোচ্চ গভীরতা ১,৬৪২ মিটার বা ৫,৩৮৭ ফুট। এই বিশাল হ্রদটি কৃত্রিমভাবে তৈরি কোন হ্রদ নয়। বৈকাল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট। ধারনা করা হয়-প্রায় ২৫/৩০ মিলিয়ন বছর পূর্বে ঐ অঞ্চলের শিলাখন্ডের মধ্যে বড় ধরনের চ্যুতির ফলে বৈকালের অংশ নিচু হয়ে হ্রদের সৃষ্টি হয় আর তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল পাহাড়ের রূপ ধারণ করে। এর পর কালের বিবর্তনে বর্তমানের রূপ ধারণ করে।
রাশিয়ার বৈকাল হ্রদে বরফ সঙ্গীতের আসর
বৈকালের সম্পদ সমৃদ্ধতা
বৈকাল নামটিই এসেছে তিইউরস্কি ভাষার ‘বাই-কুল’ আঞ্চলিক শব্দ থেকে। যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘সম্পদশালী হ্রদ’। সম্পদের বিবেচনায়ও এটি পৃথিবীর অন্যতম হ্রদ। পৃথিবীর খাবার যোগ্য বিশুদ্ধ পানির ১৯ ভাগই এই হ্রদে অবস্থিত। এবং এর পানি এতটাই স্বচ্ছ যে খালি চোখে ৪০ মিটার পর্যন্ত পানির নিচের বস্তু অনায়েশে দেখতে পাওয়া যায়। বৈকালের পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্রও নজর কাড়ার মতো। কারণ বৈকাল অঞ্চলে প্রায় ১৭০০ প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে যার দুই-তৃতীয়াংশই পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। বৈকালের তলদেশে রয়েছে ওমূল, গোলেমিংকা, স্যামন প্রভৃতি মাছ এবং নানাজাতের শামুক, শ্যাওলা প্রভৃতি প্রজাতি যা অত্যন্ত মূল্যবান ও কোন কোন ক্ষেত্রে অন্যত্র বিরল। বৈকালের নিচে রয়েছে আরো বহু প্রকারে প্রাকৃতিক সম্পদ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন