বিশ্বে দামে শীর্ষে থাকা ১০ মোবাইল ফোন
বিশ্বে দামে শীর্ষে থাকা ১০ মোবাইল ফোন
ডায়মন্ড রোজ আইফোন
ডায়মন্ড রোজ আইফোন ৪- এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মোবাইল ফোনের আসনটি দখল করে রয়েছে আইফোনের এই মডেলটি। আট মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ফোনটির চারপাশে বসানো আছে ৫০০টি হীরা, যার ওজন সব মিলিয়ে ১০০ ক্যারেট। এ ছাড়া ফোনের পেছনে আইফোনের অর্ধেক খেয়ে ফেলা অ্যাপল লোগোটি সজ্জিত করা হয়েছে ৫৩টি হীরার টুকরা দিয়ে। ডায়মন্ড রোজের সামনের নেভিগেশন বাটনটি সম্পূর্ণ প্লাটিনামের তৈরি এবং এর ঠিক মাঝে বসানো আছে আট ক্যারেটের একটি হীরা।
এখন অনেকেই মোবাইল ফোনকে নিজের অর্থ-প্রতিপত্তি প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখাতে চান। আর তাই শুধু মূল্যবান নয়, মহামূল্যবান সব ফোনের কদরও কম নয়।
১. ডায়মন্ড রোজ আইফোন ফোর
ডায়মন্ড রোজ আইফোন ৪। সংগৃহীত ছবি
ডায়মন্ড রোজ আইফোন ৪- এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মোবাইল ফোনের আসনটি দখল করে রয়েছে আইফোনের এই মডেলটি। আট মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ফোনটির চারপাশে বসানো আছে ৫০০টি হীরা, যার ওজন সব মিলিয়ে ১০০ ক্যারেট। এ ছাড়া ফোনের পেছনে আইফোনের অর্ধেক খেয়ে ফেলা অ্যাপল লোগোটি সজ্জিত করা হয়েছে ৫৩টি হীরার টুকরা দিয়ে। ডায়মন্ড রোজের সামনের নেভিগেশন বাটনটি সম্পূর্ণ প্লাটিনামের তৈরি এবং এর ঠিক মাঝে বসানো আছে আট ক্যারেটের একটি হীরা।
বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ফোন বলতে একেই ধরা হয়। এর ফ্রেমটি গোলাপি রংয়ের হীরা দিয়ে তৈরি। পুরো ফোন জুড়ে প্রায় ৫০০টি হীরক খচিত রয়েছে। ফোনের পেছন দিকটি গোলাপী আভার স্বর্ণ দিয়ে তৈরি এবং সামনের দিকটি প্লাটিনামের তৈরি। নেভিগেশন কি-তে প্লাটিনামের ফ্রেমের মাঝে গোলাপি রঙা একটি হীরকখণ্ড বসানো রয়েছে। অ্যাপলের লোগোটিতেও বসানো আছে ৫টি হীরক খণ্ড। ফোনটির দাম ৬৮ কোটিরও বেশি টাকা (৮.২ মিলিয়ন ডলার)।
বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ফোন বলতে একেই ধরা হয়। এর ফ্রেমটি গোলাপি রংয়ের হীরা দিয়ে তৈরি। পুরো ফোন জুড়ে প্রায় ৫০০টি হীরক খচিত রয়েছে। ফোনের পেছন দিকটি গোলাপী আভার স্বর্ণ দিয়ে তৈরি এবং সামনের দিকটি প্লাটিনামের তৈরি। নেভিগেশন কি-তে প্লাটিনামের ফ্রেমের মাঝে গোলাপি রঙা একটি হীরকখণ্ড বসানো রয়েছে। অ্যাপলের লোগোটিতেও বসানো আছে ৫টি হীরক খণ্ড। ফোনটির দাম ৬৮ কোটিরও বেশি টাকা (৮.২ মিলিয়ন ডলার)।
২. গোল্ডস্টিকার আইফোন থ্রিজি
সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে এটি বাজারে আসে। এর পুরো বডি জুড়েই আছে মূল্যবান হীরক খণ্ড। এ ফোনের কেসিং তৈরি করতে ২২ ক্যারেটের কাশ্মীর স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে। এর স্ক্রিনটিও হীরার তৈরি। ন্যাভিগেশন বাটনেও রয়েছে ৭.১ ক্যারেটের একটি হীরক। সব মিলিয়ে এর বাজারমূল্য ২৬ কোটি টাকারও বেশি (৩.২ মিলিয়ন ডলার)।
৩. কিংস বাটন আইফোন থ্রিজি
ফোনটির ডিজাইন করেছেন অস্ট্রিয়ার একজন জুয়েলার ও ডিজাইনার। এটি তৈরি করা হয়েছে হোয়াইট গোল্ড, রোজ গোল্ড ও ইয়েলো গোল্ডের সমন্বয়ে। এর মূল অপারেটিং বাটনে রয়েছে ৬.৬ ক্যারেটের একটি হীরা। চারপাশে হোয়াইট গোল্ডের একটি বর্ডার এবং তার উপরে বসানো ১৩৮টি হীরক খণ্ড যেন ফোনের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ। ফোনটির মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা (২.৪ মিলিয়ন ডলার)।
ফোনটির ডিজাইন করেছেন অস্ট্রিয়ার একজন জুয়েলার ও ডিজাইনার। এটি তৈরি করা হয়েছে হোয়াইট গোল্ড, রোজ গোল্ড ও ইয়েলো গোল্ডের সমন্বয়ে। এর মূল অপারেটিং বাটনে রয়েছে ৬.৬ ক্যারেটের একটি হীরা। চারপাশে হোয়াইট গোল্ডের একটি বর্ডার এবং তার উপরে বসানো ১৩৮টি হীরক খণ্ড যেন ফোনের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ। ফোনটির মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা (২.৪ মিলিয়ন ডলার)।
৪. গোল্ডভিশ লা মিলিয়ন
ভিন্ন ধাঁচের এই ফোনের ডিজাইন করেছেন সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত ডিজাইনার ইমানুয়েল গেট। ২০০৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামী মোবাইল ফোন হিসেবে গিনেজ বুকে এর নাম ওঠে। সুইস কারুশিল্পের আলোকে এর ডিজাইন করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে ফোনটি তৈরি এবং এর বহিরাবরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ১২০ ক্যারেটের ডায়মন্ড টুকরো। এর বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা (১.৪ মিলিয়ন ডলার)।
ভিন্ন ধাঁচের এই ফোনের ডিজাইন করেছেন সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত ডিজাইনার ইমানুয়েল গেট। ২০০৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামী মোবাইল ফোন হিসেবে গিনেজ বুকে এর নাম ওঠে। সুইস কারুশিল্পের আলোকে এর ডিজাইন করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে ফোনটি তৈরি এবং এর বহিরাবরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ১২০ ক্যারেটের ডায়মন্ড টুকরো। এর বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা (১.৪ মিলিয়ন ডলার)।
৫. ডায়মন্ড ক্রিপটো স্মার্টফোন
এ ফোনটি সাদা ও গোলাপি বর্ণের স্বর্ণের এক সুন্দর মিশ্রনে তৈরি। এছাড়াও এতে বসানো হয়েছে প্রায় ৫০টি হীরার টুকরো। এদের মাঝে ১০টি খণ্ড বিরল নীল বর্ণের। এ ফোনটিতে রয়েছে কিছু বাড়তি নিরাপত্তা। কিডন্যাপিং এবং প্রযুক্তিগত ব্ল্যাকমেইলিংয়ের হাত থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেবার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে কিছু অত্যাধুনিক ফিচার। এর মূল্য প্রায় ১১ কোটি টাকা (১.৩ মিলিয়ন ডলার)।
এ ফোনটি সাদা ও গোলাপি বর্ণের স্বর্ণের এক সুন্দর মিশ্রনে তৈরি। এছাড়াও এতে বসানো হয়েছে প্রায় ৫০টি হীরার টুকরো। এদের মাঝে ১০টি খণ্ড বিরল নীল বর্ণের। এ ফোনটিতে রয়েছে কিছু বাড়তি নিরাপত্তা। কিডন্যাপিং এবং প্রযুক্তিগত ব্ল্যাকমেইলিংয়ের হাত থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেবার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে কিছু অত্যাধুনিক ফিচার। এর মূল্য প্রায় ১১ কোটি টাকা (১.৩ মিলিয়ন ডলার)।
৬. গ্রিসো লাক্সর লাস ভেগাস জ্যাকপট
মূলত স্বর্ণের তৈরি এ সেটটি। তবে এর পেছনের দিকটা বিশ্বের সবচেয়ে দামী কাঠ (প্রায় ২০০ বছরের পুরনো আফ্রিকান ব্যাকউডস) দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সামনের স্ক্রিনে রয়েছে ৪৫.৫ ক্যারেটের ব্ল্যাক ডায়মন্ড। ফোনের বোতামগুলো স্যাফায়ার ক্রিস্টালের তৈরি। ১৮০ গ্রাম ভরের এ ফোনটির মূল্য প্রায় আট কোটি টাকা (১০ লাখ ডলার)।
৭. ভার্চু সিগনেচার কোবরা
এর ডিজাইন করেছেন একজন ফরাসি জুয়েলার। বহুমূল্য রত্ন পাথর ছাড়াও এর দুই পাশে রয়েছে দুইটি কোবরা আকৃতির নকশা। এতে রয়েছে একটি পেয়ার কাট ডায়মন্ড, অনেকগুলো সাদা হীরা, দুটি পান্না (সাপের চোখে বসানো) এবং ৪৩৯টি রুবি পাথর। বিক্রেতার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল- এ ফোন মোট ৮টি বানানো হবে এবং তা চীনের একটি ই-কমার্স সাইটে পাওয়া যাবে। ফোনটি কিনলে ক্রেতার কাছে হেলিকপ্টারে করে ফোনটি পৌঁছে দেয়া হবে। মূল্য প্রায় পোনে তিন কোটি টাকা (৩ লাখ ১০ হাজার ডলার)।
৮. ব্ল্যাক ডায়মন্ড ভিআইপিএন স্মার্টফোন
এই ফোনটিতে দুটি হীরা বসানো হয়েছে, একটির অবস্থান নেভিগেশন বাটনে এবং অপরটি ফোনের পেছনে। মিরর ডিটেইলিং, পলিকার্বনেট মিরর ও অর্গানিক এলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এতে। জারেন গহ নামক একজন ডিজাইনার এই স্টাইলিশ ফোনটি ডিজাইন করেছেন। এ ফোনটির দাম প্রায় আড়াই কোটি টাকা (৩ লাখ ডলার)।
৯. আইফোন প্রিন্সেস প্লাস
এই ফোনের ফিচারগুলো অ্যাপলের অন্যান্য আইফোনের মতোই। তবে কিছুটা বিশেষত্ব রয়েছে, যার কারণে এটি শীর্ষ দশে নিজের স্থান করে নিয়েছে। আইফোন থ্রিজি কিং’স বাটনের পাশাপাশি এটিরও ডিজাইন করেছেন পিটার অ্যালয়সন।
বিশেষ এই ফোনে ১৬.৫০ থেকে ১৭.৭৫ ক্যারেটের প্রায় ১৩৮টি প্রিন্সেস কাট হীরা এবং ১৮০টি ব্রিলিয়ান্ট কাট হীরা ব্যবহার করা হয়েছে। রিমের চারপাশে ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের প্রলেপ যেন ফোনের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ। বর্তমান মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা (১ লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ ডলার)।
১০. ভার্চু সিগনেচার ডায়মন্ড
ভার্চু ব্রান্ডটি লাক্সারি মোবাইল পণ্য প্রস্তুতকারক হিসেবে সুপরিচিত। ২০০৫ সালে সর্বপ্রথম তারা লাক্সারি ফোন তৈরি ও বাজারজাতকরণ শুরু করে। এ ব্রান্ডের ভার্চু সিগনেচার ডায়মন্ড ফোনটি তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে। ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে প্লাটিনাম ও ০.২৫ ক্যারেটের হীরা, বসানো আছে মোট ২০০টি হীরক খণ্ড। কোনো মেশিনের সাহায্যে নয়, বরং হাতে তৈরি করা হয়েছে পুরো ফোনটি। শুধুমাত্র কি-প্যাড তৈরির পেছনে প্রায় ৮ জন ডিজাইনার ৪ বছর ধরে কাজ করেছেন। ফোনটির বাজার মূল্য ৭৩ লাখ টাকা প্রায় (৮৮ হাজার ডলার)।
ডায়মন্ড রোজ আইফোন
ডায়মন্ড রোজ আইফোন ৪- এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মোবাইল ফোনের আসনটি দখল করে রয়েছে আইফোনের এই মডেলটি। আট মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ফোনটির চারপাশে বসানো আছে ৫০০টি হীরা, যার ওজন সব মিলিয়ে ১০০ ক্যারেট। এ ছাড়া ফোনের পেছনে আইফোনের অর্ধেক খেয়ে ফেলা অ্যাপল লোগোটি সজ্জিত করা হয়েছে ৫৩টি হীরার টুকরা দিয়ে। ডায়মন্ড রোজের সামনের নেভিগেশন বাটনটি সম্পূর্ণ প্লাটিনামের তৈরি এবং এর ঠিক মাঝে বসানো আছে আট ক্যারেটের একটি হীরা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন