পৃথিবীর বৃহত্তম হীরা 'কোহিনুর' সম্পর্কে অজানা তথ্য

পৃথিবীর বৃহত্তম হীরা 'কোহিনুর' সম্পর্কে অজানা তথ্য


কোহিনুর শব্দের অর্থ পর্বতের আলো। কিন্তু এটি পৃথিবীর বৃহত্তম একটি হীরার নাম। উপমহাদেশের মানুষের কাছে মুঘল সম্রাজ্যের ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিত। তাহলে জেনে নেয়া যাক পৃথিবীর এই বৃহত্তম হীরার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও এর অজানা কিছু তথ্য..

278913686_1480508926.jpg
১। প্রাথমিক অবস্থায় হীরাটি প্রায় ৭৯৩ ক্যারেটের ছিল। কাটার পর বর্তমান অবস্থায় এর ওজন ২১.৬ গ্রাম ও ১০৫.৬ ম্যাট্রিক ক্যারেট। ১৮৫২ সালে বৃটিশ রাণীর স্বামী প্রিন্স আলবার্ট মূল হীরা থেকে ১৮৬ ক্যারেট কেটে ফেলার আদেশ দেন। 

২। বর্তমান ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কোল্লুড় খনি থেকে এই বৃহত্তম হীরাটি উদ্ধার করা হয়। অবশ্য কেউ কেউ বলে থাকেন গোলকোন্ড খনি থেকে এটা পাওয়া গেছে।

৩। কোহিনূর, কাকাতিয়া রাজবংশের অধিষ্ঠিত দেবীমন্দিরে দেবীর চোখ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। যখন যে হীরাটির মালিকের ওপর জয়ী হয়েছে, হীরা তার দখলে চলে গিয়েছে। বর্তমানে হীরাটি বৃটিশ রাজসম্পত্তির একটি অংশ হিসেবে গণ্য। এর পূর্বে মুঘল সম্রাটদের গৌরবের বিষয় ছিল কোহিনুর। মুঘলরাই এর নামকরণ কোহিনুর করে।

৪। ১৪ শতকের প্রথম দিকে তুর্কি রাজবংশের সেনারা অপহরণ ও লুঠতরাজের জন্য দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে। ১৩১০ সালে আলাউদ্দিন খিলজি'র সেনাপতি মালিক কফুর, ওয়ারঙ্গলে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন। কাকাতিয়া রাজ্য ও দক্ষিণ ভারতীয় রাজপ্রাসাদ ও মন্দিরগুলো লুট করা হয়। যার মধ্যে কোহিনুরও ছিল। এরপর হীরাটি তুর্কি রাজবংশের কাছেই ছিল।

৫। ১৫২৬ সালে তুর্কি-মুঘল যুদ্ধে তুর্কিরা পরাজিত হয়। জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবর ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময় হীরাটি বাবরের দখলে চলে আসে। হীরাটির নামকরণ করা হয় 'বাবরের হীরা'। বাবর ও তার পুত্র সম্রাট হুমায়ুন দুজনেই এটিকে 'বাবরের হীরা' বলে পরিচিত করিয়েছেন।

৬। পঞ্চম মুঘল সম্রাট শাহজাহানের হাতে আসার আগ পর্যন্ত হীরাটি মুঘল তোষাখানায় পড়ে ছিল। শিল্প সমঝদার শাহজাহান, তার সুসজ্জিত ময়ূর সিংহাসনে হীরাটি স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সমগ্র ভারতবর্ষ দখল করে নিলে কোহিনুরসহ ময়ূর সিংহাসন তাদের দখলে চলে যায়। কোম্পানি হীরাটি রাণিকে ভেট হিসেবে প্রদান করে।কোহিনুর শব্দের অর্থ পর্বতের আলো। কিন্তু এটি পৃথিবীর বৃহত্তম একটি হীরার নাম। উপমহাদেশের মানুষের কাছে মুঘল সম্রাজ্যের ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিত। তাহলে জেনে নেয়া যাক পৃথিবীর এই বৃহত্তম হীরার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও এর অজানা কিছু তথ্য..

১। প্রাথমিক অবস্থায় হীরাটি প্রায় ৭৯৩ ক্যারেটের ছিল। কাটার পর বর্তমান অবস্থায় এর ওজন ২১.৬ গ্রাম ও ১০৫.৬ ম্যাট্রিক ক্যারেট। ১৮৫২ সালে বৃটিশ রাণীর স্বামী প্রিন্স আলবার্ট মূল হীরা থেকে ১৮৬ ক্যারেট কেটে ফেলার আদেশ দেন। 

২। বর্তমান ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কোল্লুড় খনি থেকে এই বৃহত্তম হীরাটি উদ্ধার করা হয়। অবশ্য কেউ কেউ বলে থাকেন গোলকোন্ড খনি থেকে এটা পাওয়া গেছে।

৩। কোহিনূর, কাকাতিয়া রাজবংশের অধিষ্ঠিত দেবীমন্দিরে দেবীর চোখ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। যখন যে হীরাটির মালিকের ওপর জয়ী হয়েছে, হীরা তার দখলে চলে গিয়েছে। বর্তমানে হীরাটি বৃটিশ রাজসম্পত্তির একটি অংশ হিসেবে গণ্য। এর পূর্বে মুঘল সম্রাটদের গৌরবের বিষয় ছিল কোহিনুর। মুঘলরাই এর নামকরণ কোহিনুর করে।

৪। ১৪ শতকের প্রথম দিকে তুর্কি রাজবংশের সেনারা অপহরণ ও লুঠতরাজের জন্য দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে। ১৩১০ সালে আলাউদ্দিন খিলজি'র সেনাপতি মালিক কফুর, ওয়ারঙ্গলে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন। কাকাতিয়া রাজ্য ও দক্ষিণ ভারতীয় রাজপ্রাসাদ ও মন্দিরগুলো লুট করা হয়। যার মধ্যে কোহিনুরও ছিল। এরপর হীরাটি তুর্কি রাজবংশের কাছেই ছিল।

৫। ১৫২৬ সালে তুর্কি-মুঘল যুদ্ধে তুর্কিরা পরাজিত হয়। জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবর ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময় হীরাটি বাবরের দখলে চলে আসে। হীরাটির নামকরণ করা হয় 'বাবরের হীরা'। বাবর ও তার পুত্র সম্রাট হুমায়ুন দুজনেই এটিকে 'বাবরের হীরা' বলে পরিচিত করিয়েছেন।

৬। পঞ্চম মুঘল সম্রাট শাহজাহানের হাতে আসার আগ পর্যন্ত হীরাটি মুঘল তোষাখানায় পড়ে ছিল। শিল্প সমঝদার শাহজাহান, তার সুসজ্জিত ময়ূর সিংহাসনে হীরাটি স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সমগ্র ভারতবর্ষ দখল করে নিলে কোহিনুরসহ ময়ূর সিংহাসন তাদের দখলে চলে যায়। কোম্পানি হীরাটি রাণিকে ভেট হিসেবে প্রদান করে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

২০০০ সালে এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৫৯০ দুর্ঘটনার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে কনকর্ড যুগের।

বাংলাদেশের সকল রাজবাড়ী ও জমিদার বাড়ীগুলির ইতিহাস ও বর্তমান অবস্হা কি (ভিডও সহ )