মানব পাচার একটি জাতীয় সমস্যা, যা মানবীয় মর্যাদার প্রতি এক চরম আঘাত।



মানব পাচার একটি জাতীয় সমস্যা, যা মানবীয় মর্যাদার প্রতি এক চরম আঘাত। মানব পাচারে দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা দেখা যায়। তবে সম্প্রতি মানব পাচার নিয়ে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তা বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত প্রসারিত। বিশ্বব্যাপী এ মুহূর্তে যে সমস্যা মারাত্মকরূপ ধারণ করেছে তা হচ্ছে মানব পাচার। বাংলাদেশের অদক্ষ জনসংখ্যা ও দারিদ্র্য, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব, সমাজে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তাহীনতার বহুমাত্রিক হেতু, পেশা ও কর্মের অবাধ সুবিধাহীনতা বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন ও উন্নত জীবন যাপনের আকাক্সক্ষা, মাদক ও যৌন ব্যবসা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি বহুবিধ কারণে সম্প্রতি মানব পাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। মানব পাচার রোধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আইন ও ঘোষণা রয়েছে। মানব পাচার যে কারণেই হোক এটা নৈতিকতা, আইন ও ধর্ম কর্তৃক অসমর্থিত। ইসলাম মানুষকে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা ইত্যাদি মৌলিক অধিকার প্রদানের পাশাপাশি জীবন, সম্পদ, মর্যাদার নিরাপত্তা প্রদান করেছে। ইসলামের পরিবার ব্যবস্থাও একটি দুর্গ।

মানব পাচারের কারণ দেশ, কাল, পাত্র ও সমাজভেদে বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। ফলে এর প্রতিরোধের উপায়ও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশে মানব পাচারের জন্য যে সব কারণ দায়ী সে সব কার্যকারণ সমাজ থেকে উৎপাটনে ইসলাম যেসকল বিধি-বিধান উপস্থাপন করেছে সেগুলো; পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষ তার নিজের জীবনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা লাভের অধিকারী। অন্যায়ভাবে কেউ কারো ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করবে না ও হত্যা-নিপীড়ন করবে না। মানুষকে সুষ্টভাবে বেঁচে থাকার জন্য এ অধিকার অত্যন্ত প্রয়োজন, যা মানব অধিকার সনদে স্বীকৃত। 

পৃথিবীতে মানুষের সুষ্ঠ-সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য ইসলাম দিয়েছে পূর্ণ গ্যারান্টি। এতে মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার ব্যাপারে চমৎকার দিক নির্দেশনা রয়েছে। এমনকি এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা বলেন : নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের কারণ ব্যতিরেকে কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন পৃথিবীর মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল। আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে রক্ষা করল। আর কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিন ব্যক্তিকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম, যেখানে সে স্থায়ী হবে এবং তার প্রতি আল্লাহর গযব ও অভিসম্পাত এবং তিনি তার জন্য মহা শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।

সমাজে দারিদ্র, ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের কারণে মানুষ যেন তাদের সন্তানদের হত্যা না করে, সে সম্পর্কে আল্লাহ কুরআন মাজীদে কঠোরভাবে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, দারিদ্রের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদের হত্যা করো না আমি তাদেরকে ও তোমাদেরকে রিযিক দেব। বিষয়টি সুরা বনী ইসরাঈলের ৩১ এবং সুরা আন‘আমের ১৪০নং আয়াতের উল্লেখ করা হয়েছে। জাহেলীযুগে আরবরা তাদের কন্যা সন্তান জন্ম হওয়াকে সামাজিকভাবে অবমাননাকর কাজ বলে মনে করত। যার জন্য পিতা- মাতা তাদের অনিচ্ছা সত্বেও অতি আদরের সন্তানদের জীবন্ত কবর দিতে দ্বিধা করত না। আল্লাহতালা বলেন; যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়োছিল? 
ইসলাম কন্যাসন্তান হত্যার জঘন্য প্রথা নিষিদ্ধ করেছে। রাসুলুল্লাহ সা. বরং কন্যাদের লালন-পালনের ব্যাপারে আরো উৎসাহ প্রদান করেছেন। রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তান লালন-পালন করল; তাদের উত্তম শিষ্টাচার শিক্ষা দিল এবং বিবাহ দিল; তাদের প্রতি উত্তম আচরণ করল, সে জান্নাতে যাবে। অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, যার দুটি মেয়ে বা দুটি বোন রয়েছে। অতঃপর সে তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করে, তাহলে ঐ ব্যক্তি এবং আমি জান্নাতে এভাবে পাশাপাশি থাকবো। একথা বলে তিনি তার তর্জনী এবং মধ্যমা আঙ্গুল দেখালেন। ইসলাম সকল সামাজিক কুপ্রথাকে পদদলিত করে কন্যাদেরকে সর্বোচ্চ মর্যাদার স্থানে অভিষিক্ত করেছে। ইসলাম কেবল অন্যায়ভাবে অপরকে হত্যা নিষিদ্ধ করেনি; বরং আত্মহত্যাও নিষিদ্ধ করেছে। আত্মহত্যা সম্পূর্ণ অমানবিক ও অপ্রত্যাশিত, যা কুরআনে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন; তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। 

এ সম্পর্কে আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন; যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে জাহান্নামে অনুরূপভাবে নিজেকে ফাঁস লাগাতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি বর্শার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে অনুরূপভাবে বর্শা বিধতে থাকবে। মানব ইতিহাসে হত্যার সুচনা হয় আদম আ.-এর পুত্র কাবিল কর্তৃক হাবীলকে হত্যার মধ্যে দিয়ে। এ হত্যা থেকে কুরআনে এসেছে; তুমি যদি তোমার হাত আমার দিকে প্রসারিত কর আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে, আমি কিন্তু আমার হাত তোমার দিকে তোমাকে হত্যা করার জন্য প্রসারিত করব না কেননা আমি বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি। 
এ সম্পর্কে হাদীসে এসেছে পৃথিবীতে সংঘটিত সকল হত্যার একটি অংশ কাবিল পাবে। ইসলাম একটি শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবজাতির জন্য কল্যাণকারী পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, প্রকৃত মুসলিম সেই ব্যক্তি, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ। তাই ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা ইসলামের দৃষ্টিতে একটি অপরিহার্য কর্তব্য এবং ঈমানী দায়িত্ব। ব্যক্তি পরিবার ও সমাজ জীবনে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত ও সহিংসতাকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে; মানবতাবিরোধী সব ধরনের অন্যায় হত্যাযজ্ঞ, রক্তপাত, অরাজকতা ও অপকর্ম প্রত্যাখ্যান করেছে; সৎ কর্মে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছে এবং জুলুম-নির্যাতনমূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে মানুষের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও শান্তিপুর্ণ সহাবস্থানের চেতনা এবং অর্থনৈতিক দর্শন ও অপরাধ দমন কৌশল ইসলামকে দিয়েছে সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রীয়তা। কিন্তু শান্তির ধারক-বাহক জনগণের বিরুদ্ধে সর্বদাই অশান্তিকামী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী দুর্বৃত্তরা খড়গহস্ত থাকে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, তারা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ায়, আল্লাহ ধবংসাত্মক কাজে লিপ্ত বক্তিদের ভালবাসেন না। অতএব ইসলামের শিক্ষা অনুসারে জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে মানব পাচার বহুলাংশে কমে আসবে।

সম্পদের নিরাপত্তা

রাসুলুল্লাহ সা.-এর আগমনের পূর্বে সম্পদের নিরাপত্তা বিধান ছিল না। চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, সন্ত্রাস সর্বত্রই বিরাজ ছিল। তিনি সম্পদের নিরাপত্তা বিধান করেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নিজের ধনসম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু বরণ করবে সে শহীদ হবে। রাসূলুল্লাহ সা. আরো বলেন : যদি কোনো ব্যক্তি জবরদস্তি করে এক বিঘত জমি দখল করে তাহলে রোজ কিয়ামতে সাত স্তর জমি তার গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হবে। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন; ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। আর জেনে বুঝে কোনো মানুষের ধন মালের কিয়দংশ অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারকের নিকট ঠেলে ফেলে দিও না। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন তোমরা আমানতসমূহ তার যোগ্য ও পাওনাদারের নিকট পৌঁছিয়ে দাও। ইসলামী অর্থব্যবস্থা অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের প্রাথমিক উপায় হিসাবে প্রাপ্ত সম্পদের বন্টন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ প্রাধান্য দেয়। এক্ষেত্রে আল্লাহ তা’আলার হুকুম হচ্ছে : যাতে ধনৈশ্বর্য কেবল তোমাদের বিত্তশালীদের মধ্যেই পুঞ্জীভূত না হয়।’ সুতরাং ইসলাম সম্পদের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করে।
ইসলামে সমাজে ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, মুসলিম, অমুসলিম সর্বস্তরের মানুষের যথেষ্ট মানসম্মান ও মর্যাদা অক্ষুণœ রাখার বিধান রয়েছে। কোনো অবস্থায় কাউকে অবমাননা করা চলবে না। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমাদের কোনো সম্প্রদায় অপর সম্প্রদায়কে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে যেন ঠাট্টা বিদ্রুপ না করে। 
মানুষের জীবনের মর্যাদা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সা. বিদায় হজ্জের ভাষণে দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন : তোমাদের জান-মাল, ইজ্জত-আব্রুর উপর হস্তক্ষেপ তোমাদের উপর হারাম করা হল। তোমাদের আজকের এই পবিত্র দিন, এই পবিত্র যিলহজ্জ মাস, এই শহর (মক্কা) যেমন পবিত্র ও সম্মানিত অনুরূপভাবে উপরোক্ত জিনিসগুলোও সম্মানিত ও পবিত্র। 

ইসলাম বিনা অনুমতিতে কারো গৃহে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করেছে। কারণ সকলে যেন তার নিজ নিজ গৃহে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপত্তার সাথে বসবাস করতে পারে। এ সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেন; হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের বাড়ী ব্যতিত অন্যের বাড়িতে মালিকের অনুমতি না নিয়ে এবং তাদের সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর ব্যবস্থা। হয়ত তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে। যদি তোমরা বাড়ীতে কাউকে না পাও তাহলে তাতে প্রবেশ করবে না; যতক্ষণ না তোমাদের অনুমতি দেয়া হয়। যদি তোমাদেরকে বলা হয়, ফিরে যাও, তবে তোমরা ফিরে যাবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত। এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কারো বাড়ীতে প্রবেশের পূর্বে অনুমতি নিতে হবে। প্রয়োজন শেষে খোশ-গল্পের জন্য বসে না থেকে বিদায় নিতে হবে। কিন্তু আধুনিক সমাজে এমনকি মুসলিম সমাজেও কোনো মেহমান বা আত্মীয়-স্বজন বাড়ীতে প্রবেশ করে বিনা প্রয়োজনে অযথা সময় নষ্ট করে গল্প-গুজব, হাসি-ঠাট্টায় লিপ্ত হয় যা ইসলাম সমর্থন করে না। 

আল্লাহ বলেন: হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে ভোজনের জন্য নবীগৃহে প্রবেশ কর না। তবে তোমাদেরকে আহ্বান করলে তোমরা প্রবেশ কর এবং ভোজন শেষে তোমরা চলে যাও; তোমরা কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড় না! তবে প্রয়োজন অনুযায়ী গৃহে বা পাশে অবস্থান করা যাবে এবং লেন-দেনও করা যাবে। আল্লাহ তা’আলা বলেন: নবী সহধর্মিনীগণের নিকট থেকে কোনো বস্তু গ্রহণ করলে পর্দার আড়াল থেকে চেয়ে নাও। একইভাবে কারো গৃহে উঁকি-ঝুঁকি মারা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নবী করিম সা. বলেন, কেউ কারো ঘরের অভ্যন্তরে ঘরের বাসিন্দাদের অনুমতি ব্যতীত উঁকি মেরে তাকায়, তাহলে তার চোখ ফুটো করে দেওয়া তাদের জন্য বৈধ হবে। 

মানবপাচার মানবাধিকারের একটি চরম লঙ্ঘন এবং সভ্যতার প্রতি উপহাস, যা সমাজে দারিদ্রতা, অশিক্ষা, অজ্ঞতা, ইসলামী শিক্ষার অভাব, বিপুল জনসংখ্যা, আবাসন স্বল্পতা ইত্যাদি কারণে ঘটে থাকে। বাংলাদেশে এটা জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মানব পাচার প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন করেছে এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর জন্য রয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও জেলা কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী ও কর্মপরিকল্পনা।
এতদ সত্বেও দেখা যাচ্ছে, মানবপাচার দিনদিন বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছে। মানবপাচার প্রতিরোধে ইসলামের রয়েছে যথার্থ শিক্ষাদর্শন ও দিকনির্দেশনা। ইসলাম মানুষের জীবনের নিরাপত্তা, সামাজিক মূল্যবোধ, পারিবারিক ব্যবস্থা, রাষ্ট্রের আইনকানুন মেনে চলার প্রতি কঠোর নির্দেশনা এবং দন্ডবিধি প্রয়োগের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রধান করেছে। এজন্য ইসলামের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সাধারণ জনগণ, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবী, পেশাজীবি, গণমাধ্যমকর্মী, ব্যবসায়ীসহ দেশের সকল বিবেকবান মানুষের স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসতে হবে। মানবপাচার প্রতিরোধে প্রচলিত আইন ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় নিঃসন্দেহে এক বলিষ্ট ভূমিকা পালন করবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

২০০০ সালে এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৫৯০ দুর্ঘটনার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে কনকর্ড যুগের।

বাংলাদেশের সকল রাজবাড়ী ও জমিদার বাড়ীগুলির ইতিহাস ও বর্তমান অবস্হা কি (ভিডও সহ )