পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল গঠনতন্ত্র হচ্ছে মানবদেহ। এই মানবদেহ নিয়েই রয়েছে বেশ কিছু অজানা ও মজার তথ্য।

 পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল গঠনতন্ত্র হচ্ছে মানবদেহ। এই মানবদেহ নিয়েই রয়েছে বেশ কিছু অজানা ও মজার তথ্য।
Image result for মানবদেহের চিত্র

ব্রেইন বা মস্তিষ্কঃ

হল সকল প্রাণীর সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম। সহজ ভাষায়, প্রাণীদেহের সব কাজ,চিন্তা-ভাবনা,নড়া-চড়া সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করে ব্রেইন। একজন মানুষের ব্রেইন,অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বড় হয়। মানুষের মস্তিষ্ক অসাধারণ রহস্যময় সৃষ্টি। এর ক্ষমতার সীমা পরিসীমা বিজ্ঞানীরা আজও নির্ণয় করতে পারেননি।
মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ
মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ
মানুষের মস্তিষ্কের সবচেয়ে বিস্ময়কর ক্ষমতা হলো বাস্তবের কোনো ঘটনার গভীরে গিয়ে তার বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কাল্পনিক চিত্র তৈরি করা। যা নিকট ভবিষ্যতে ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে...। বিজ্ঞানীরা আজো সঠিকভাবে আবিষ্কার করতে পারেন নি আমরা কেনো স্বপ্ন দেখি? কেনো দিনের বেলার অসমাপ্ত কাজগুলো রাতে সাদাকালো চিত্রে রূপ নেয়? এটাই মানব মস্তিষ্কের সবচে রহস্যময় ঘটনা।
মস্তিষ্কের আরও একটি অবাক  করা ব্যাপার বলি। আমাদের মস্তিষ্কের ভর ৫.১-৫০ কেজি হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা মাত্র ১ গ্রাম এর মত অনুভব করে থাকি। বলতে পারেন কেন?
কেননা আমাদের মস্তিষ্কের বেশীরভাগ পানি কিংবা তরল জাতীয় পদার্থ। আর সেই তরলে অনেকটা ভাসমান থাকে আমাদের মস্তিষ্ক। তাই আর্কিমিডিসের সূত্রানুসারে আমরা মাত্র ৫০ গ্রামের মত ওজন কিংবা ভর অনুভব করে থাকি। অনেক সময় নানা কারণে বিশেষ করে অনেক পরিশ্রম করলে আমরা আমাদের মাথা অনেক ভারী অনুভব করি। এর কারণ মস্তিষ্কে পানির পরিমাণ কমে যাওয়া। তাই সবসময় বেশি করে পানি পান করবেন।



মস্তিষ্ক
মস্তিষ্ক

আসুন জেনে নিই মস্তিষ্ক নিয়ে আরো সব তথ্য:

মস্তিষ্কের ৮০ শতাংশই পানিবাচ্চা অবস্থায় একটি মানুষের মস্তিষ্কের ওজন থাকে ৩৫০-৪০০ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় যা বেড়ে হয় ১৩০০-১৪০০ গ্রাম!

  1. মানব মস্তিষ্কের প্রায় ৭৫ ভাগই পানি!!!
  2. মস্তিষ্ক মানুষের দেহের মোট আয়তনের মাত্র ২% হলেও দেহে উৎপন্ন মোট শক্তির ২০ ভাগেরও বেশী খরচ করে সে একাই!! আশ্চর্য না?
  3. একজন সাধারণের মানুষের মস্তিষ্কে থাকে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নিউরন। যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৬ গুণ।
  4. শুধুমাত্র নিউরোকর্টেক্স অংশ (যা মানুষের ভাষা,কথা বার্তা নিয়ন্ত্রণ করে) ব্রেনের মোট ভরের প্রায় ৭৬ ভাগ। আর মানুষের নিউরোকর্টেক্স অন্যান্য সকল প্রাণীর চেয়ে বড় হয়। গঠনও অনেকখানি আলাদা হয়। যদিও অন্য সকল বেশ কিছু ক্ষেত্রে মানুষের সাথে অন্যান্য প্রাণীর মস্তিষ্কের গঠনে বেশ মিল আছে।
  5. প্রেগন্যান্সির প্রথম দিকে সময় একটি মানব শিশুর মস্তিষ্কে প্রতি মিনিটে ২৫০,০০০ নিউরণ সৃষ্টি হতে থাকে।
  6. মস্তিষ্কের মধ্যে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৭৫০ মিলিলিটার রক্ত সঞ্চালিত হয়। যা হৃৎপিণ্ড থেকে সঞ্চালিত রক্তের প্রায় ২০%।
  7. জাগ্রত থাকা অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রায় ২৫ ওয়াট পাওয়ার সৃষ্টি করে। যা একটি লাইট বাল্ব জ্বালানোর জন্য যথেষ্ট।
  8. একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্ক অক্সিজেন ছাড়া মাত্র ৫ মিনিট টিকতে পারবে।
  9. মানুষের মস্তিষ্কের প্রতি সেকেন্ডে ১০১৫ টি হিসাব করার ক্ষমতা আছে। যা পৃথিবীর সবচে বড় সুপার কম্পিউটারেরও নেই...!!
  10. মানুষের নিউরণে তথ্য চলাচলের সর্বনিম্ন গতিবেগ হলো ৪১৬ কিমি/ঘণ্টা অর্থাৎ প্রায় ২৬০ মাইল/ঘণ্টা। আর বর্তমান বিশ্বে সবচে দ্রুততম গাড়ি "বুগাত্তি ভেরন ই.বি ১৬.৪" এর গতিবেগ ২৫৩ মাইল/ঘন্টা।
  11. একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৭০০০০ বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে সক্ষম।
  12. ৩০ বছর বয়সের পর থেকে মানুষের মস্তিষ্কের ভর প্রতি বছর ০.২৫% করে বাড়তে থাকে।
  13. সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ভর ছিলো ১২৭৫ গ্রাম। যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম।
  14. মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা কেমন হতে পারে! সাধারণ একটা মস্তিষ্ক এনস্লাইকোপিডিয়া ব্রিটানিকার ৫ গুণ বেশি তথ্য ধারণ করতে পারবে। এই ধারণ ক্ষমতা ইলেক্ট্রিকালি বুঝাতে গেলে ৩ থেকে ১০০০ টেরাবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  15. আপনার মস্তিষ্কের ৮০% পানিতে তৈরি। যা দিয়ে একটি ১০ ওয়াটের বাল্ব জালানো সম্ভব।
  16. মস্তিষ্কের টিস্যুটি হলো একটি গোলাপি, নরম এবং জেলির মতো অঙ্গ। এর কারণ সম্ভবত এটাই যে মস্তিষ্ক মূলত উচ্চ পরিমাণ পানি ধারণ করে। সুতরাং সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের জন্য সবসময়ই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। 
  17. ১৮ বছর বয়সে মানুষের মস্তিস্কের গঠন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রায় ১ হাজার নিউরন নষ্টও হয়ে যেতে পারে।
  18.  মানবদেহের মাত্র ২ শতাংশ ওজনের হলেও মস্তিস্ক শরীরের ২০ শতাংশ শক্তি ব্যবহার করে।
  19.  মস্তিস্ক কখনোই বিশ্রাম করেনা, ঘুমের মধ্যেও কাজ করতে থাকে।
  20. ব্রেন নিজে কোন ব্যথা অনুভব করেনা যদিও ব্রেন ব্যথার অনুভূতি সরবরাহ করে!!
  21. ব্রেন এর খুব বেশি অক্সিজেন দরকার হয় দেহের মোট প্রয়োজনীয় ক্যালরি আর অক্সিজেন এর শতকরা ২০ ভাগ এর জন্য প্রয়োজন হয়!! যদিও ব্রেন আমাদের দেহের মোট ওজনের মাত্র শতকরা ২ ভাগ
  22.  ব্রেন এর শতকরা ৮০ ভাগ পানি, এর মানে হচ্ছে আপনাকে সঠিক পরিমানে পানি গ্রহন করতে হবে ব্রেন কে কার্যক্ষম রাখতে হলে
  23.  আমরা অনেকে ভাবি, ব্রেন দিনে বেশি কার্যকর থাকে কিন্তু সেটা সত্য না আমাদের ব্রেন ঘুমের সময় বেশি কার্যকর থাকে।
  24. টেকনিক্যাল ভাবে ব্রেন এর সব কিছু ধারন করে রাখার সামর্থ্য আছে এটা যা কিছু অনুভব করে, দেখে, পড়ে, আর শোনে।
  25. বুদ্ধিমান ব্যক্তির বেশি তামা এবং দস্তা থাকে তাদের চুলে।
  26. আপনার মস্তিষ্কের আকার জন্মের সময় আমাদের মাথার আকার থাকে আমাদের দেহের চারভাগের একভাগ। কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হতে এর আকার আমাদের দেহের আট ভাগের একভাগে নেমে আসে
  27.  প্রতিদিন মানুষের চুল .০৫ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়!!
  28.  আমাদের মস্তিষ্ক প্রায় ১০,০০০ টি বিভিন্ন গন্ধ চিনতে ও মনে রাখতে পারে। 
  29. আমাদের মাথার খুলি ২৬ ধরণের ভিন্ন ভিন্ন হাড় দিয়ে তৈরি ।
  30. মানুষের মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশটির নাম কী? সেরেব্রাম। 
  31. দেহে ও মনে অনুভূতি আসলে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে।

brain

জটিল ও বিস্ময়কর গঠনের মানবদেহ। গঠনের মতো এর মধ্যকার কার্যক্রমও বেশ জটিল। পাকস্থলী, হৃদপিণ্ড, হাড়, চোখ, মস্তিষ্ক, ত্বক, পেশি, মেরুদণ্ড, চোখ, কানসহ মানুষের কত শত অঙ্গ। শরীরের ভিতর ও বাইরের এসব অঙ্গে প্রতিদিন লাখো কাজ সম্পন্ন হয়। 


  • একজন মানুষের স্নায়ুতন্ত্র এত লম্বা যে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৭ বার পেঁচানো যাবে।
  •  কোন অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়।
  • আপনার হাড়গুলো পুনরায় গুনুন
  • আপনি যখন ছোট্ট শিশুটি ছিলেন তখন আপনার দেহে ৩৫০টি হাড় ছিল। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকগুলো হাড় একটি আরেকটির সঙ্গে মিশে গেছে। ফলে শেষমেষ মানবদেহে সবমিলিয়ে মাত্র ২০৬টি হাড় থাকে।
  •  হাড়ের অভ্যন্তরে থাকা পদার্থটির নাম কী?  বোন ম্যারো।
  • প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে (২০৬ টি) হাড় থাকে।
  • মানব দেহের সবচে শক্ত হাড় হচ্ছে চোয়ালের হাড়!!
  •  যে হাড়ে মেরুদণ্ড তৈরি হয় তাকে কী বলে? ভার্টেবরে।
  •   হাড়ের মধ্যে ৭৫জল 
  •  একজন শিশুর জন্মের সময় হাড় থাকে ৩৫০ টি।
  • মানুষের শরীরে সবচেয়ে বড় অস্থি = ফিমার
  • মানুষের শরীরে সবচেয়ে ছোট অস্থি = স্টেপিস
  • মানুষের শরীরে সবচেয়ে বড় পেশি = সারটোরিয়াস
  • মানুষের শরীরে সবচেয়ে ছোট পেশি = স্টেপিডিয়াস
  • মানুষের শরীরে সবচেয়ে বড় গ্রন্থি = যকৃত
  • মানুষের শরীরে সবচেয়ে ছোট গ্রন্থি = পিট্যুইটারি
  • মানুষের শরীরে সবচেয়ে বড় কোষ = নিউরণ
  • মানুষের শরীরে আকারে সবচেয়ে বড় রক্তকণিকা = শ্বেত রক্তকণিকা
  • মানুষের শরীরে সবচেয়ে ছোট রক্তকণিকা = অণুচক্রিকা
  • মানুষের শরীরে সবচেয়ে বড় করোটিক স্নায়ু =ট্রাইজেমিনাল
  • মানুষের শরীরে সবচেয়ে ছোট করোটিক স্নায়ু =অলফ্যাক্টরি
  • মানুষের শরীরে সবচেয়ে বিস্তৃত করোটিক স্নায়ু = ভ্যাগাস
  • মানুষের শরীরে ক্ষুধার্ত স্নায়ু = ভ্যাগাস
  • মানুষের শরীরে সিমপ্যাথেটিক স্নায়ু = থোরাসিক-লাম্বার নার্ভ
  • মানুষের শরীরে প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ু = করোটিক(স্নায়ু ৩, ৭, ৯, ১০)-স্যাক্রাল ২, ৩, ৪
  •  একজন স্বাভাবিক মানুষের শরীরে চামড়ার পরিমাণ হচ্ছে ২০ বর্গফুট।
  • একজন মানুষের রক্তের পরিমাণ তার মোট ওজনের ১৩ ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ ৬৫কেজি Image result for হৃদপিন্ডওজন মানুষের রক্তের পরিমাণ হল ৫ কেজি।

  1. দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে।
  2.  রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বাঁচে।
  3.  দেহের সব শিরাকে পাশাপাশি সাজালে দেড় একর জমির প্রয়োজন হবে।
  4. ঠোঁটের ছাপ আঙুলের ছাপের মতই, একজন মানুষের ঠোঁটের ছাপও অন্য আরেক জনের ঠোঁটের ছাপের সাথে কখনো মিলবে না
  5.  পৃথিবীতে একমাত্র মানুষই হাসতে পারে। অবশ্য হায়নারাও হাসির মতো শব্দ করে, কিন্তু হাসির মর্ম শুধু মানুষই বুঝে।
  6.  না খেয়ে মরার চেয়ে না ঘুমিয়ে আপনি আগে আগে মরতে পারেন। আপনি ১০ দিন না ঘুমালে মারা যেতে পারেন।
  7.  একজন মানুষের চামড়ার ওপর রয়েছে ১ কোটি লোমকূপ।
  8. মানুষের শরীরে যে পরিমাণ চর্বি আছে তা দিয়ে ৭ টি বড় জাতের কেক তৈরি সম্ভব।
  9. শ্বাস ত্যাগের পরেওফুসফুসে .৫লিটার বায়ু থেকে যায়
  10. মানুষের নখ বৃদ্ধির মধ্যে মধ্যমার নখ সবথেকে দ্রুত বাড়ে এবং বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ সবথেকে কম বাড়ে
  11. প্রতিদিন প্রায় ৪০০ গ্যালন রক্তকিডনির মাধ্যমে পরিস্রুত হয়
  12. ইনসুলিন এর অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয়
  13. ইনসুলিন অগ্ন্যাশয়ে উৎপন্ন হয়
  14. আমিষজাতীয় খাদ্য পেপসিন জারক রস পরিপাক করে
  15. মানবদেহের শ্বাসতন্ত্রের প্রধান অঙ্গ হল ফুসফুস
  16. মানবদেহে সবচেয়ে বেশি রক্তচাপ ঘটে ধমনীতে
  17. প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের প্রধান কাজ হল দেহের ক্ষয়পূরণ  বৃদ্ধি করা
  18. ভয় পেলে গায়ের লোম খাড়া হয় অ্যাডরেনালিন হরমোনের প্রভাবে
  19. মৃদু আলোতে কাজ করে চোখের রডস অংশ
  20. দিনের আলোতে কাজ করে চোখের কোনস অংশ
  21. আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে এবং আপনার ওজন ৫০ কেজির বেশি হলে আপনি রক্তদান কর্মসূচীতে অংশ নিতে পারেন
  22. আপনার শরীরে যে পরিমান কার্বন আছে তা দিয়ে ৯০০০ পেন্সিল বানানো যাবে!!
  23. মানুষের চোখের মধ্যে থাকা রঙিন অংশ যা কতটা আলো চোখে প্রবেশ করবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করে— এর নাম কী?  আইরিস
  24. মানুষের ত্বক ও চুলের রং নির্ধারণকারী পদার্থের নাম কী? মেলালিন
  25. মানুষের ত্বকের বাইরের অংশকে কী বলে?এপিডার্মিস
  26. আপনার ত্বক কি পরিষ্কার? আপনি কত অল্প সময় পরপর আপনার মুখ পরিষ্কার করেন তাতে কিছুই যায় আসে না। এতে ৩ কোটি ২০ লাখ আছে। তবে ভয় পাবেন না। এসব ব্যাক্টেরিয়ার বেশিরভাগই ক্ষতিকর নয়।
  27. আপনার ত্বক ঝরে পড়ে!আপনি যদি ভেবে থাকেন যে, শুধু আপনার পোষা প্রাণিটিরই এই ত্বক ঝরে পড়ার সমস্যা রয়েছে তাহলে এটি জেনে আপনি বিস্মিত হবেন। মানবদেহের ত্বক থেকে প্রতি ঘন্টায় ৬ লাখ কণা ঝরে পড়ে! এই পদ্ধতিতে আপনার ত্বক নিজেকে প্রতিনিয়ত নতুন করে গড়ে তুলছে এবং মরা কোষগুলো ঝেড়ে ফেলছে।
  28. একজন মানুষের চামড়ার ওপর রয়েছে ১ কোটি লোমকূপ।
  29. শরীরে থাইয়ের সামনের দিকে থাকা পেশিকে কী বলা হয়? কোয়ার্ডরিসেপস
  30. সত্য না কি মিথ্যা বলো— হৃদপিণ্ডের নিচের দিকে থাকা দুটি প্রকোষ্টকে নিয়ল বলে।সত্য
  31.  নখ কী পদার্থ দিয়ে তৈরি? ক্যারোটিন।
  32. মানুষের দেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ কী?ত্বক 
  33. মানুষের দেহে ফুসফুস কয়টি? ২টি।
  34.  মানুষের কণ্ঠনালির আরেক নাম কী? ল্যারিংস
  35. মানুষের দেহের সবচেয়ে শক্তিশালী পেশি হল জিহ্বা।
Image result for মানবদেহের চিত্র

  1.  নাকের দুই ফুঁটোকে কী বলে? নাসারন্দ্র। 
  2. প্রতিদিন মানুষ . পাউন্ডপানি/তরল গ্রহন করে (সকল প্রকারতরল মিলিয়ে)
  3. প্রতিদিন মানুষ .২৫ পাউন্ড খাদ্যগ্রহন করে!!
  4.  প্রতিদিন মানুষ ঘুমের মধ্যে ২৫ /২৬ বার নড়াচড়া করে
  5. প্রতিদিন মানুষের নখ .০০০০৭ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়!!
  6.  প্রতিদিন মানুষের রক্ত ১৬,৮০,০০০মাইল প্রবাহিত হয়!!
  7. রক্ত তৈরি করা যায় নাএরমানেকারো যদি রক্ত লাগে তবে শুধুমাত্র একজন ইচ্ছুক ব্যাক্তিই পারেন  মানুষটিকে রক্ত দিয়ে সাহায্য করতে
  8. রক্তদানের পর যেটুকু রক্ত আপনি দিন তা পুনরায় আপনার শরীরে তৈরি হতে সময় নেয় মাত্র ২৪/৪৮ ঘণ্টা।।
Image result for হৃদপিন্ড
  1. প্রতিদিন মানুষের হৃদপিন্ড১,০৩,৬৮৯ বার স্পন্দিত হয়
  2. প্রতিদিন মানুষের ফুসফুস ২৩,০৪৫বার শ্বাসপ্রশ্বাসিত করে!!
  3.  প্রতিদিনমানুষেরা শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য ৪৩৮ঘনফুট বাতাস গ্রহন করে!!
  4. বিশেষ গঠনের কোষের কারণে জিহ্বার মাধ্যমে মানুষ টক, মিষ্টি, তিক্ততা ও লবণাক্ততা বুঝতে পারে। বিশেষ গঠনের এই কোষের নাম কী? স্বাদ গ্রন্থি।
  5. ডিএনএ-এর বিশেষ আকৃতিকে কী বলে? ডাবল হেলিক্স
  6. হৃদপিণ্ড থেকে সারা শরীরে রক্ত ছড়িয়ে যাওয়াকে কী বলে? রক্তসংবহন 
  7.  হৃদপিণ্ডসহ বুকের মধ্যে থাকা অঙ্গগুলোকে যে হাড়সমষ্টি রক্ষা করে তাকে কী বলে?পাঁজর
  8. লম্বা পাইপের মতো অঙ্গ যা গলা থেকে পাকস্থলীতে খাবার বয়ে নেয় তাকে কী বলে? অন্ননালি
  9.  সত্য না কি মিথ্যা বলো— ভারসাম্য রাখতে কান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সত্য
  10. আপনার হাতের সবচেয়ে ছোট আঙ্গুলটি আপনার হাতের শক্তির ৫০ শতাংশের যোগান দেয়
  11. মানুষের আঙ্গুলের ছাপ মস্তিস্কের থেকেও বেশী তথ্য বহন করে
  12. আপনার ছোট আঙ্গুলের শক্তি আপনার চোখের রঙ জন্মের সময় আপনার চোখের রঙ ছিল নীল। এরপর পর্যায়ক্রমে চোখের মেলানিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার চোখের রঙও পরিবর্তিত হতে থাকে।
  13. মানবদেহের প্রতিটি কণাকে কোটি বছর পুরোনো বলে মনে করা হয়। এছাড়া দেহের ৭০ শতাংশই পানি। 
  14. চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া সম্ভব নয়। হাঁচির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার।
  15. আ্পনি যদি ৭০ বছর বেঁচে খাকেন তবে এ সময় ৩০০ কোটিবার স্পন্দিত হবে হৃদপিন্ড।
  16. প্রত্যেক ব্যক্তিরই জিহবার ছাপ আলাদা, আঙ্গুলের ছাপের মতো
  17. মানুষের শরীরে ৬৫০ টি পেশী আছে। কোন কোন কাজে ২০০ টি পেশী সক্রিয় হয়। মুখমন্ডলে ৩০ টির বেশী পেশী আছে। হাসতে গেলে ১৫ টির বেশী পেশী সক্রিয় হয়।
  18.  একস্থান থেকে শুরু করে সমগ্র শরীর ঘুরে ঐ স্থানে ফিরে আসতে একটি রক্তকণিকা ১,০০,০০০ কিমি পথ অতিক্রম করে অর্থাৎ ২.৫ বার পৃথিবী অতিক্রম করতে পারে।
  19. পায়ের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ?আমাদের পায়ে দুর্ঘন্ধ সৃষ্টি হয় অনবরত ঘামের কারণে। আমাদের পায়ে ৫০ হাজার ঘাম গ্রন্থি রয়েছে!
  20. হাঁচি দিন সাবধানেআপনি কি জানেন যে, মানুষের হাঁচি থেকে বের হওয়া বাতাস ঘন্টায় ১০০ মাইল বেগে ধাবিত হয়। আর এ কারণেই হাঁচির সময় আমাদের চোখ দুটো বুজে আসে। আর নয়তো চোখগুলো বের হয়ে আসবে।
  21. আমরা যখন হাঁচি দেই তখন আমাদের শরীরের ভিতর সমস্ত ধরণের কাজ বন্ধ হয়ে যায় এমনকি হার্টবিটও থেমে যায়।.

  1.  মানুষের মস্তিস্কের গঠন বন্ধ হয়ে যায় ১৮ বছর বয়স থেকে। এরপর থেকে প্রায় ১ হাজার নিউরন নষ্টও হয়ে যেতে পারে।
  2. .মানুষের মস্তিস্ক কখনোই বিশ্রাম করেনা, এটা ঘুমের মধ্যেও কাজ করতে থাকে।
  3.  মানবদেহের প্রতিটি কণাকে কোটি বছর পুরোনো বলে মনে করা হয়
  4. মানব দেহের ৭০ শতাংশই পানি।
  5.  আমাদের হাতের নখে যেই পদার্থ আছে ঠিক সেই পদার্থ দিয়ে আমাদের চুল তৈরি হয়ে থাকে, ফলে হাত এবং চুল উভয়ই একই জিনিস তবে দুইটির ঘনত্ব আলাদা।
  6.  নখ ও চুল শরীরের বাড়তি অংশ, তাই নখ, চুল কাটলে আমরা ব্যথা পাই না।
  7. একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ প্রতিদিন ৬ বার বাথরুমে যায়।
  8. . আমাদের মুখ থেকে পেটে খাদ্য পৌছাতে মাত্র ৭ সেকেন্ড সময় লাগে।
  9. সারাজীবনে ১০ হাজার লালা উৎপন্ন করে লালাগ্রন্থি।
  10.  প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে শিশুদের মুখে যেকোন খাবারের স্বাদ থাকে বেশি।
  11. . আমাদের দেহের সবচেয় বড় হাড় পাঁজর।
  12. আমাদের শরীরের ক্ষুদ্রতম হাড় হল কানের হাড়।
  13. রাতের তুলনায় সকালে আমাদের দেহ লম্বা হয় দ্রুত
  14.  মস্তিস্ক মানবদেহের মাত্র ২ শতাংশ ওজনের হলেও, শরীরের ২০ শতাংশ শক্তি ব্যবহার করে।

হৃদপিন্ড

মানবদেহ যে উপায়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বা পরিবর্তিত হয় তা খুবই রহস্যময় ব্যাপার। এখানে মানবদেহ সম্পর্কে এমন কিছু বিষয়ের উল্লেখ করা হলো, যেগুলো আপনাকে বিস্মিত করবে চলুন জেনে নিই মানবদেহ সম্পর্কে অজানা, অদ্ভুত আর মজার সব তথ্য- 
আপনার পাকস্থলীর ভেতরের আবরণ প্রতি তিন থেকে চারদিন পরপর পরিবর্তিত হয়।
 ঘ্রাণ শক্তির ক্ষমতা আমাদের ঘ্রাণশক্তি হয়তো কুকুরের মতো অতটা শক্তিশালি নাও হতে পারে। তথাপি আমাদের নাক ৫০ হাজার ধরনের সুগন্ধি স্মরণে রাখতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি আমাদের দেহ না খেয়েই কয়েক সপ্তাহ বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে না ঘুমালে আপনার প্রাণহানিও ঘটতে পারে। আপনি যদি টানা ১১দিন ধরে না ঘুমান তার পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।
পাকস্থলীর ভেতরের আবরণ নিজে নিজেই বদলায় প্রতি তিন থেকে চারদিন পরপর মানবদেহের পাকস্থলির ভেতরের আবরণ পরিবর্তিত হয়। আর পাকস্থলির দেয়ালের এই নতুন আবরণের সাহাজ্যেই আমরা এমনকি শক্তিশালি এসিডও হজম করতে পারি।
আপনার দেহে উৎপাদিত লালা ৫৩টি বাথটাব পূর্ণ করবে
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন। একজীবনে একজন মানুষের দেহ থেকে ২০ হাজার লিটার লালা বের হয়। যা দিয়ে দুইটি সুইমিং পুল পূর্ণ করা যাবে।
লোম বৃদ্ধি দেহের আর যে কোনো অংশের লোমের চেয়ে আমাদের মুখমণ্ডলের অবাঞ্ছিত লোমগুলো অনেক দ্রুত গতিতে বাড়ে। দুর্ভাগ্যক্রমে, মুখমণ্ডলের অত্যধিক বৃদ্ধিতে আক্রান্ত নারীরা এই ধরনের লোম বৃদ্ধির কুফল ভোগ করেন বেশি।
মেয়েদের হার্ট(Heart) ছেলেদের হার্টের চেয়ে দ্রুত স্পন্দিত হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো খাবার আপনার মুখের লালার সাথে না মিশে আপনি ততক্ষণ সেই খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন না!!



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

২০০০ সালে এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৫৯০ দুর্ঘটনার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে কনকর্ড যুগের।

বাংলাদেশের সকল রাজবাড়ী ও জমিদার বাড়ীগুলির ইতিহাস ও বর্তমান অবস্হা কি (ভিডও সহ )