বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান 'বাঘিনী''র খবর রিদমিক জিমন্যাস্টিকের ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে ২ নম্বরে অবস্থান রাজশাহীর মেয়ে রিতা ।
বাঙালি জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ দিন। দেশের আবহাওয়া, মাটি পানি থেকে যারা দূরে; স্বজনদের মায়ার বাধন উপেক্ষা করে যারা নিয়তই পরবাসে দিনাতিপাত করছে তাদের কাছে দেশের টান টা একটু বেশিই। আর সেই টান থেকেই তার চায় তাদের পরের প্রজন্মও যেন বিজয়ের আনন্দ উপভোগের সাথে সাথে পরিচিত হয় রক্তাক্ত ইতিহাসের সাথে। উপলব্ধি করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্নত্ব্যাগ । দুয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে , বাংলাদেশে মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হয় না । মেলেনা মেধা বিকাশে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা । তাই মেধাবীরা পাড়ি জমান বিদেশে । এরকম প্রবাসী বা অভিবাসী বহু বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ বিশ্বের অগ্রগতিতে ইতোমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং রেখে যাচ্ছেন । বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের বাইরে আরও অনেক গুণী তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে মেধার সাক্ষর রেখে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে যাচ্ছেন ।
রিদমিক জিমন্যাস্টিকের ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে ২ নম্বরে অবস্থান কারী রিতা মামুন ।
বিশ্ব গণমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করেছে বাংলাদেশী এই ''বাঘিনী''র খবর রিদমিক জিমন্যাস্টিকের ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে ২ নম্বরে অবস্থান রাজশাহীর মেয়ে রিতা ।
বিশ্ব গণমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করেছে বাংলাদেশী বংশদ্ভুত রাশিয়ার এই জিমন্যাস্টিক কন্যার কথা । প্রতিবেদনগুলিতে তাকে উল্লেখ করা হচ্ছে ‘বাংলার বাঘিনী’নামে ।
আর খোদ ''বাংলা''ই জানেনা তার এই ''বাঘিনী''র খবর ।
আর খোদ ''বাংলা''ই জানেনা তার এই ''বাঘিনী''র খবর ।
কে এই রিতা?
২০১৩ সালে রিতার এমন গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যের কারণে তাকে নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায় রাশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে। রাশিয়ার বিখ্যাত ক্রীড়া ম্যাগাজিন ইউরো স্পোর্ট এর প্রচ্ছদে উঠে আসে রিতার সাফল্যের গল্প।
তার বাবা প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজশাহীর ছেলে। ১৯৮৩ সালে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে তিনি রাশিয়া যান। পরে সেখানেই স্থায়ী হয়ে যান। সবচেয়ে মজার তথ্য হল, বাংলাদেশী বংশদ্ভুত এই রিতাকে বিশ্ব গণমাধ্যম অন্য এক নামে চেনে, সেখানে তার নাম‘মার্গারিতা মামুন’।
ঠিক এই নামেই এই রিদমিক জিমন্যাস্টিকে চেনেন বিশ্ববাসী। রিতার রক্তে বইছে জিমন্যাস্টিকস, ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর রাশিয়ার মস্কোতে জন্ম নেয়া রিতার বাবা বাংলাদেশী বংশদ্ভুত আবদুল্লাহ আল মামুন প্রকৌশলী হলেও তার মা রাশিয়ান বংশদ্ভুত এ্যানা একজন পেশাদার রিদমিক জিমন্যাস্টিক ছিলেন।
তাই ছোট বেলা থেকেই জিমন্যাস্টিকস চর্চা চালিয়ে গেছেন তিনি। ব্যাক্তিগত জীবনে এখনও বিয়ে করেননি মার্গারিতা মামুন রিতা। তার একটি ছোট ভাই আছে, নাম ফিলিপস। বর্তমানে তারা সপরিবারে রাশিয়ার মস্কোতে বসবাস করছেন।
বাংলাদেশ ও শৈশব:
বাংলাদেশে এসেছিলেন কয়েকবার রিতা। ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলাও বলতে পারেন। রাশিয়ার গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার রিদমিক জিমন্যাস্ট দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রিতা। ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর জন্ম নেয়া রিতা সাত বছর বয়স থেকেই রিদমিক জিমন্যাস্টিকস চর্চা শুরু করেন। ২০০৫ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিচরণ তাঁর। রিতা জুনিয়র হিসেবে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। জুনিয়র পর্যায়ে বাংলাদেশের হয়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। তবে এক পর্যায়ে রাশিয়ার হয়েই এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রিতা।
রিদমিক জিমন্যাস্টিকের ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে রিতার অবস্থান বর্তমানে ২ নম্বরে ! যা কিনা সত্যি গর্বের ।
২০১৩ সালে রিতার এমন গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যের কারণে তাকে নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায় রাশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে। রাশিয়ার বিখ্যাত ক্রীড়া ম্যাগাজিন ইউরো স্পোর্টস এর প্রচ্ছদে উঠে আসে রিতার সাফল্যের গল্প।
রিদমিক জিমন্যাস্টিকস কি?
মূলত জিমন্যাস্টিকস বলতে শারীরিক কলা-কৌশল প্রদর্শনের ক্রীড়াবিশেষ, যাতে দৌঁড়, লাফ, ডিগবাজী, সমারসল্টিং এবং ভারসাম্য রক্ষা করার বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট থাকে। মেয়েদের ক্ষেত্রে চার ধরনের - ফ্লোর, বার (ক্রীড়া), বীম এবং ভল্ট উপকরণাদি ব্যবহার করা হয়। এ ক্রীড়ায় যে প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে থাকেন, তিনি জিমন্যাস্ট নামে পরিচিতি লাভ করেন। জিম্যানস্টিকসে একজন প্রতিযোগী অন্য প্রতিযোগীর মোকাবেলা করে থাকে। সেখানে সবচেয়ে ভাল ক্রীড়াশৈলীর প্রদর্শনের মাধ্যমে যোগ্যতা ও বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
অলিম্পিক ক্রীড়ায় জিমন্যাস্টিকস অন্যতম প্রধান ক্রীড়া বিষয় হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে শুধুমাত্র মহিলা ক্রীড়াবিদগণই অংশগ্রহণের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত। শৈশবকাল থেকেই এতে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি-পর্ব গ্রহণ করতে হয়। বয়সের যোগ্যতা অনুসারে তাদেরকে অলিম্পিকে অংশগ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। ১ জানুয়ারি তারিখে একজন জিমন্যাস্টের বয়স অবশ্যই ১৬ বছর হতে হবে।
তার বাবা প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজশাহীর ছেলে । ১৯৮৩ সালে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে তিনি রাশিয়া যান । পরে সেখানেই স্থায়ী হয়ে যান । ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর রাশিয়ার মস্কোতে জন্ম নেয়া বাংলাদেশী বংশদ্ভুত এই রিতাকে বিশ্ব গণমাধ্যম অন্য এক নামে চেনে, সেখানে তার নাম‘মার্গারিতা মামুন’।
২০০৫ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিচরণ তাঁর । রিতা অনেকগুলো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জুনিয়র পর্যায়ে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ।
বিশ্বগণমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করেছে বাংলাদেশী বংশদ্ভুত রাশিয়ার রিদমিক জিমন্যাস্টিক এক কন্যার কথা। প্রতিবেদনে তাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বাংলার বাঘিনী’নামে। আর এই খেতাব তাকে দিয়েছেন রুশ কোচ ইরিনা ভিনের।
রাশিয়ার গণমাধ্যমেও রিতাকে ‘বাংলার বাঘিনী’ নামেই উল্লেখ করেছে। রিদমিক জিমন্যাস্টিকের ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থান বর্তমানে ২ নম্বরে! যা কিনা সত্যি গর্বের।
সাফল্য:
রাশিয়ার গণমাধ্যমেও রিতাকে ‘বাংলার বাঘিনী’ নামেই উল্লেখ করেছে। রিদমিক জিমন্যাস্টিকের ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থান বর্তমানে ২ নম্বরে! যা কিনা সত্যি গর্বের।
সাফল্য:
২০১১ সাল থেকে রিতার খেলোয়াড়ী জীবনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসতে শুরু করে। ২০১১ সালে মন্ট্রিল ওয়ার্ল্ড কাপে অংশ নিয়ে ১০৬.৯২৫ পয়েন্ট অর্জন করে অল-অ্যারাউন্ডে ব্রোঞ্জ পান রিতা। আর বল ফাইনালে ২৭.০২৫ পয়েন্ট নিয়ে স্বর্ণ জিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ওই বছর রাশিয়ার চ্যাম্পিয়নশিপে হুপ ও বলে অল-অ্যারাউন্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় দলে ডাক পড়ে যায় তার। উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী রিতা রিদমিক জিমন্যাস্টিকসের ২০১৪ সালের ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপে সবমিলিয়ে সিলভার মেডেলিস্ট এবং ২০১৩ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালে ‘অল অ্যারাউন্ড’ চ্যাম্পিয়ন।
এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি তার শুরু হয়ে যায় তার জয়যাত্রা। ২০১১ সালে তার ওয়াল্ড ৠাংকিং ছিল ২২, যা কিনা ২০১২ সালে হয়ে যায় ১৭। কিন্তু ২০১৩ সালে একলাফে ওয়াল্ড র্যা ঙ্কিংয়ের ১ নম্বরে চলে আসেন তিনি। মস্কো গ্রান্ড প্রিক্সে স্বর্ন জেতার মধ্য দিয়ে মৌসুম শুরু করেন। এরপর কাজান ইউনিভার্সিয়াড, সেন্ট পিটার্নবার্গ ওয়াল্ড কাপ ফাইনাল, ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ এবং ওয়াল্ড চ্যাম্পিয়নশীপের মতো বড় ক্রীড়া ইভেন্টগুলোতে রিতার তার যোগ্যতার পরিচয় দেয়। আর বর্তমানে তিনি আছেন ওয়াল্ড ৠংকিংয়ের ২ নম্বরে। রিতার এগিয়ে চলা শানিত ফলা ঠিক একই রকম আছে। চলতি বছর জার্মানির স্টুটগার্টে আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতায় রিতা তিনটি স্বর্ণ পদক, একটি সিলভার এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন ।
রিতা সম্পর্কে বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদুর রহমান বাবলু জানালের, 'রিতাকে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিতে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সকল দিক বিবেচনা করে তিনি রাশিয়ার হয়েই খেলছেন। আর এ ধরণের একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় যে ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেয়া দরকার তা আমাদের পক্ষে আসলেই সম্ভব নয়। তবে খুব সম্প্রতি তার সাথে আমরা আর যোগাযোগ করেনি।'
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে কোন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত নাগরিকের এটাই বড় সাফল্য। তাই রিতার এই অর্জনে বাংলাদেশ কমিউনিটির মানুষ খুবই খুশী। এমনকি ফেইসবুকে ও ইন্সটাগ্রামে তারা রিতার প্রতিযোগিতার ছবি প্রকাশ করেছে।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে রিতা:
ফেসবুকে, ইন্সটাগ্রামে আছেন রিতা। রিতার সাফল্যের খবর নিয়মিত পাওয়া যাবে ফেসবুকে। ‘মার্গারিতা মামুন ফ্যানস’ নামক একটি পাতা রয়েছে তাঁর। এছাড়া ইন্সটাগ্রাম এবং ভিকন্টাক্টিয়াতেও পাওয়া যাবে তাঁকে।
এবার দেখুন মার্গারিতার কয়েকটি পারফরম্যান্সের ভিডিও
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন