কালনাগিনী কোন বিষাক্ত সাপ নয় এতে যে পরিমান বিষথাকে তা দিয়ে মানুষের তেমন কোন কিছুই হয়না
আজ এমন একটি সাপ নিয়ে আলোচনা করবো যার আতঙ্কে অনেকের ঘুম হয়না যাকে বলা হয়সাপেদের রাণীযার মাথায় থাকে হিরা খচিত মুকুট এটি এমন একটি সাপ যার প্রতিহিংসায়
পড়লে বাঁচা একপ্রকার অসম্ভব এর সঙ্গীকে হত্যা করলেতো উপায়ই নেই স্বর্গ, মর্ত্য কিংবা পাতাল যেখানেইথাকুন না কেন সে আপনাকে খুঁজে বের করবেইবেহুলা লক্ষিন্দরের কাহিনী শুনেছেন তাই না? চাঁদসওদাগরের চরম শত্রু ছিলো এই সাপ আপনারা বুঝতেই পারছেন আমি কালনাগিনীর কথা বলছি।আসলে আগে উল্লেখিত সব কথা মিথ্যে কালনাগিনী কোন বিষাক্ত সাপ নয় এতে যে পরিমান বিষথাকে তা দিয়ে মানুষের তেমন কোন কুছুই হয়না আর অন্য সকল সাপের মতোই এর মস্তিষ্কেরস্মৃতিধারণ ক্ষমতা সামান্য। ফলে এটি আপনাকে মোটেও মনে রাখতে পারবেনা। প্রতিহিংসাতো দূরেথাক কালনাগিনী খুবই লাজুক প্রকৃতির সাপ মনষা মঙ্গল কাব্যে এই সাপকে ভয়ঙ্কররূপে উপস্থাপনকরা হয়েছে এরপর অসংখ্য চলচ্চিত্রে, কালনাগিনীর সেলিব্রেটি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে ভ্রান্ত ধারণাছড়িয়ে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করা হয়েছে তাই এই সাপটি নিয়ে এতো কুসংস্কার বিভিন্ন চলচ্চিত্রে কালনাগিনী হিসেবে যে সাপটি দেখানো হয়েছে তা মূলত গোখরা সাপ।
বাস্তবিকপক্ষে কালনাগিনী সাপ দেখতে অনেক সুন্দর সরু এই সাপটির মাথা মাথা ছোট,
চ্যাপ্টা ওগলা চিকন সাদা বা সবুজাভ হলুদ দেহের উপর কালো ডোরাকাটা তার উপর লাল আর কমলারঙের মতো সুন্দর নকশা করা। এরা লাফিয়ে চলাচল করতে পারে বলে Ornate Flying Snake.এদের নাম এদের বৈজ্ঞানিক নাম Chrysopeteaornate. এরা খাড়া দেয়াল বেয়েও উঠে যেতে পারে।
বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম ও সুন্দরবনে এদের দেখা যায় এরা টিকটিকি, বাদুর, ইঁদুর, কাঠবিড়ালীইত্যাদি খেয়ে থাকে। কখনো কখনো পাখির ডিম ও কীটপ্রতঙ্গ ও খেয়ে থাকে।
সাপুড়েরা জানে এরা বিষাক্ত নই তারপরও তাদের ব্যাবসাকে চাঙা রাখতে এরা কালনাগিনীর খেলাদেখায়, তাবিজ বিক্রি করে।। অনেকে বিষাক্ত মনে করে এদের মেরে ফেলে ভিয়েতনাম ও পার্শ্বভর্তীদেশে অনেকেই এদের পুষে থাকেন ফলে এই সাপের পাঁচার বেড়ে চলছে ফলে সাপটি এখন বড়হুমকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আপনার আমার সচেতনতাই পারে সাপটিকে পৃথিবীর বুকেঁ টিকিয়েরাখতে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন