পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু অাবিষ্কার!


পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু অাবিষ্কার!





পৃথিবীর রহস্যভেদের চেষ্টায় এখনও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন বিশ্বের প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এ চেষ্টায় এখনো পুরোপুরি সফল না হলেও এরই মধ্যে অনেক ভয়ঙ্কর জিনিস আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। আপনাদের সামনে এ ভয়ঙ্কর অাবিষ্কারগুলো তুলে ধরা হল:

অ্যাটলান্টিস সিটি:


আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে এই শহরটির খোঁজ পান প্রত্নতাত্ত্বিক বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, এই শহরটি প্রায় ২৪০০ বছর আগে তৈরি। তাদের আরও অনুমান, কোনও প্রবল সুনামির ধাক্কায় শহরটি আটলান্টিকের গভীরে তলিয়ে যায়। তবে এটা শুধুই অনুমান। প্রকৃত কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।



অ্যান্টিকিথেরা মেকানিজম:


১৯০০ সালে গ্রিসের দ্বীপ অ্যান্টিকিথেরার ১৫০ ফুট পানির নিচ থেকে উদ্ধার হয় এই প্রাচীন যন্ত্রটি। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ২০০০ বছর আগে তৈরি এই যন্ত্রটি সেকালের গ্রিক জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার অন্যতম সহায়ক যন্ত্র। কিন্তু এর নির্মাণ এবং ব্যবহার নিয়ে আজও রহস্য রয়েছে।


গোবেক্লি তেপে:
তুরস্কে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এটির খোঁজ মেলে। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ১১০০০ বছর আগে প্রস্তর যুগে এই অদ্ভুত দর্শন স্থাপত্যটি তৈরি হয়। তাদের অনুমান, এটি একটি মন্দির। প্রস্তর যুগের মানুষের এই স্থাপত্য আজও অবাক করে একবিংশ শতকের আধুনিক মানুষকে। আশ্চর্যের বিষয়, এই ধরনের মাত্র একটি মন্দিরেরই খোঁজ মিলেছে পুরো দেশে।


মাউন্ট ওয়েন মোয়া:


১৯৮৬ সালে নিউজিল্যান্ডের একটি গুহা থেকে উদ্ধার হয় এটি। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি ২০০০ বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া পাখি মোয়া’র পায়ের অংশ। ডানাহীন এই পাখিটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট এবং ওজন ছিল প্রায় ২৫০ কিলোগ্রাম। আশ্চর্যের বিষয়, বিশ্বের অন্য কোনও প্রান্ত থেকে এই পাখির কোনও খোঁজ পা্ওয়া যায়নি।

টেরাকোটা আর্মি:
১৯৭৪ সালে চিনের সাংহাই প্রদেশে সম্রাট কিন শি হুয়াং-এর সমাধির কাছে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে উদ্ধার হয় টেরাকোটার অদ্ভুত এই বিরাট আর্মিদের। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি প্রায় ২২০০ বছর আগে তৈরি। কিন্তু কী কারণে এই টেরাকোটা বাহিনী চৈরি হয়েছিল, সে উত্তর আজও অজানা।
নাজকা লাইনস:
ইংল্যান্ডের এই প্রাচীন স্থাপত্যটি প্রায় ৫০০০ বছর আগে তৈরি বলে অনুমান। প্রায় ২০-২২ হাজার কিলোগ্রাম ওজনের এক একটি পাথর খণ্ডকে অদ্ভুত ভাবে বৃত্তাকারে সাজিয়ে তৈরি এই স্টোন হেঞ্জ। ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি একটি সমাধিক্ষেত্র, যেখানে প্রায় ২৪০ জন মানুষকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তবে এটা শুধুই অনুমান।


ম্যানুস্ক্রিপ্ট:

বিমানে চড়ে দক্ষিণ পেরুর মরুভূমির উপর দিয়ে যাওয়ার সময় নাজকা লাইনস আপনার চোখে পড়তে পারে। খুঁটিয়ে দেখলে এর মধ্যে ৩০০টি জ্যামিতিক আকার এবং ৭০টি প্রাণীর চেহারা চোখের সামনে ফুটে উঠবে। অনেকের বিশ্বাস, এটি ভিন গ্রহের প্রাণীদের সৃষ্টি। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি প্রায় ২০০০ বছর আগে তৈরি


স্টোন হেঞ্জ:


এটি বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় পাণ্ডুলিপি বলে পরিচিত। ১৯১২ সালে উত্তর ইতালি থেকে এটি আবিষ্কৃত হয়। এই পাণ্ডুলিপিটির ভাষা এখনও উদ্ধার করা যায়নি। শুধু তাই নয়, কে এর লেখক তাও জানা যায়নি আজ পর্যন্ত।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

২০০০ সালে এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৫৯০ দুর্ঘটনার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে কনকর্ড যুগের।

বাংলাদেশের সকল রাজবাড়ী ও জমিদার বাড়ীগুলির ইতিহাস ও বর্তমান অবস্হা কি (ভিডও সহ )