লন্ডনের এক প্রবাসী ভারতীয় মহিলা সবথেকে বড় দাড়ি রেখে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে

সুকুমার রায় লিখেছিলেন “গোঁফের আমি গোঁফের তুমি, তাই দিয়ে যায় চেনা।” এই গোঁফ দাড়ির কায়দা এতদিন পুরুষদের দখলেই ছিল। কিন্তু নারী স্বাধীনতার যুগে পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছেন মহিলারাও। লন্ডনের এক প্রবাসী ভারতীয় মহিলা সবথেকে বড় দাড়ি রেখে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুললেন।

বছর চব্বিশের হরনাম কৌরের হরমোনের সমস্যা ছিল। এর জন্যই মুখে ছোটবেলা থেকেই ছিল দাড়ি। এই সমস্যার জন্য বন্ধুদের বিদ্রুপ শুনতে হতো প্রায়ই। সহপাঠীদের বিদ্রুপ এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, যে কিছুদিনের জন্য স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন তাঁর অভিভাবকরা। তবে এই দাড়িই এখন বিখ্যাত করে দিয়েছে হরনাম‌কে। দাড়িওয়ালা মডেল হিসাবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলে ফেলেছেন এই তরুণী। লন্ডনপ্রবাসী হরনাম ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘের দাড়ি রেখেছেন। হরমোনের সমস্যা যুক্ত মহিলাদের মধ্যে এর আগে এতকম বয়সে এত বড় দাড়ি রাখতে পারেননি কেউ।
প্রসঙ্গত দাড়ি নিয়ে মানসিক সমস্যায় ভোগা হরনামকে চিকিৎসকসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে জানানো হয় তাঁর বিরল ধরনের ‘পলিসিস্টিক ওভারি’ সমস্যা রয়েছে। আর তা থেকেই যত বিপত্তি। তবে থেমে থাকেননি হরনাম। নিজের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করবার লড়াইয়ে নেমে পড়েন। এক গাল ভর্তি দাড়ি নিয়েই শুরু করে দেন মডেলিং। সঙ্গে শারীরিক অস্বাভাবিকতার জন্য কিশোর কিশোরীদের ওপরে বিদ্রুপের বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রসারের কাজ শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত বিশ্বের সামনে এল এমন স্বীকৃতি। ইতিমধ্যেই ‘ফোরআর্বান ব্রাইডসমেড’, ‘মারিয়ানা রয়্যাল ফ্যাশন ডে’-এর মতো বিশ্ববিখ্যাত শো-‌র র্যাদম্পে হেঁটেছেন হরনাম।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

২০০০ সালে এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৫৯০ দুর্ঘটনার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে কনকর্ড যুগের।

বাংলাদেশের সকল রাজবাড়ী ও জমিদার বাড়ীগুলির ইতিহাস ও বর্তমান অবস্হা কি (ভিডও সহ )