প্রাচীন পৃথিবীর কিছু রহস্য… যা বর্তমান কাল পর্যন্ত unsolved ই রয়ে গেছে।
প্রাচীন পৃথিবীর কিছু রহস্য… যা বর্তমান কাল পর্যন্ত unsolved ই রয়ে গেছে।
Oscar Wilde এর একটি অনেক famous উক্তি রয়েছে ““The true mystery of the world is the visible, not the invisible.” পৃথিবীতে এমন অনেক দৃশ্য ধাঁধা রয়েছে যা এখন পর্যন্ত সমাধানের রাস্তায় পৌঁছায়নি। আজ সেরকম কিছু প্রাচীন রহস্যের কথা বলব যা আজকের দিন পর্যন্ত সমাধান করা সম্ভব হয়নি ----
1. Salzberg Cube:
এটি ঘনাকার এবং ছোট আকৃতির এবং এটি আসলে একটি লোহার স্তুপ যা ভূতাত্ত্বিক Tertiary সময়ের Lignite কয়লার ভিতরে পাওয়া গিয়েছিল ১৮৮৫ সালে Wolfsegg am Hausruck, Austria তে। এর প্রাপ্ত স্থানের নামানুসারে একে Wolfsegg Iron ও বলা হয়ে থাকে। Reidl নামের এক Austrian foundry র কর্মচারী এই Salzberg Cube আবিষ্কার করে। সে একটি স্তরীভূত কয়লা ভেঙ্গে এর ভিতরে এক অদ্ভুত ধরণের লোহার ঘনাকার স্তূপ পেয়েছিল। এটা ছিল অনেক সূক্ষ্ম ফাটল যুক্ত এবং গর্ত সমন্বিত... সাথে এর ভিন্ন ধরণের রঙও একে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছিল। Reidl এর পূর্বে এরকম ধরণের কোন জিনিসের সাথে পরিচিত ছিল না। সে এই Salzberg Cube পাওয়ার সাথে সাথে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যায়... এবং সম্মিলিত ভাবে তারা এই ঘনাকার লোহার স্তূপটিকে Heimathaus Museum এ রেখে আসে। পরবর্তী বছরে সেই মিউজিয়ামের একজন প্রফেসর Adolf Gurlt, সেই Salzberg Cube কে নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করেন এবং সে এটিকে উল্কাপিণ্ডের (meteorite) একটি অংশ হিসেবে অভিহিত করেন। কিন্তু পরবর্তীতে Vienna র Natural History Museum প্রমাণ করেন... এটির সাথে উল্কাপিণ্ডের কোন সম্পৃক্ততা নেই... বরং তারা ধারণা করেছিল এটি কোন অজানা উৎস থেকে আগত কৃত্রিম প্রক্রিয়ার ফলশ্রুত কোন বস্তু... যে কয়লার স্তরে এই Salzberg Cube টি আবিষ্কার করা হয়েছিল সেটি প্রায় ৬০ মিলিয়ন বছরের পুরনো ছিল। একে ঘিরে কিছু paranormal তত্ত্ব ও রয়েছে... বলা হয়ে থাকে এটিকে কিছুদিন প্রদর্শনীর জন্য Sazlberg Museum এ রাখা হয়েছিল... ১৯১০ সালের দিকে এটি সেখান থেকে উধাও হয়ে যায়... এটিকে খোঁজাখুঁজির পর কোথায় পাওয়া গিয়েছিল একটু guess করুন তো??? তার পূর্বের অবস্থান... Heimathaus Museum এ... !!! প্রাচীন এই artifact এর উৎস এবং এর সংশ্লিষ্ট রহস্য আজ পর্যন্ত ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে..!
2. Screaming Mummy:
সাল ১৮৮৬, জুন মাসে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে একদিন Egyptian Antiquities Service এর প্রধান Gaston Maspero, Valley of the kings এর গুপ্ত গুহার মধ্যে থেকে উদ্ধারকৃত ৪০ জন রাজা এবং রাণীর মমি unwrap করে দেখছিল। ১৮৮১ সালে সমাধিগুলো আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে, Cairo হতে ৩০০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত Deir El Bahri উপত্যকাতে অসংখ্য এবং একই সাথে বিস্মিত করার মত কিছু মমি আবিষ্কার হয়েছিল। এর মধ্যে কিছু মমি হারিয়ে যাওয়া মিসরীয় সভ্যতার বিখ্যাত কিছু ফারাও যেমন – Rameses the Great, Seti I এবং Tuthmosis III এর ছিল... এই মমি গুলোর সাথে আরও একটি মমি আবিষ্কার করা হয়েছিল... যা এগুলো থেকে কিছুটা পৃথক এবং বেশি আশ্চর্যজনক ছিল... এই মমি টি পাওয়া গিয়েছিল একটি সাদামাটা কফিনে... এবং এর কোন পরিচয় সেখানে উল্লেখিত ছিল না। Maspero যখন ধাঁধা সদৃশ এই কফিনটি খুলেছিল সে এক কথায় অত্যন্ত পরিমাণে বিস্মিত হয়েছিল...কি ছিল সেই কফিনে?? সেখানে ছাগল অথবা ভেড়ার চামড়া দিয়ে আচ্ছাদিত (যা প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতায় অত্যন্ত ঘৃণ্য বস্তু হিসেবে দেখা হত) একজন যুবকের দেহ পাওয়া গিয়েছিল... যার মুখে জমাটবদ্ধ রক্তের সাথে, তীব্র চিৎকারের চিত্র ফুটে উঠেছিল তার মরে যাওয়ার হাজার বছর পরেও !!! এই মমিটিকে দেখে তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, মৃত্যুর পূর্ববর্তী সময় তাকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছিল... যে ব্যাথার চিত্র তার মুখ থেকে মৃত্যু পরবর্তী সময় পর্যন্ত যায়নি। তার হাত এবং পা অনেক শক্ত করে বাঁধা ছিল... এবং তাকে মমি অবস্থায় যখন পাওয়া যায় তখনও তার হাত পা সেরকম ভাঁজ অবস্থাতেই ছিল। পরবর্তীতে Maspero র উপস্থিতিতে Daniel Fouquet নামের একজন physician ১৮৮৬ সালে তাকে নিয়ে গবেষণা করে আবিষ্কার করে দেখে তাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয় এবং তাকে “Man E” নামে তারা নামাঙ্কিত করে। মিসরীয় সভ্যতায় কখন কোন মমির পরিচয় তার কফিনে লেখা হত না জানেন?? মিসরীয়দের মতে তাদের কফিনে নাম লিখার সাথে তাদের পরবর্তী জীবনের একটি যোগসূত্র রয়েছে... যদি কেউ তাদের বিরাগভাজন হত অথবা অত্যন্ত ঘৃণ্য... সেই সব মানুষের পরবর্তী জীবনে তাদের যেন কোন পরিচয় না থাকে সে ব্যবস্থা করার জন্য তারা তাদের পরিচয় গুপ্ত রাখত!! ইতিহাসবিদরা ধারণা করেন এই “Man E” Rameses III এর প্রতারক পুত্র রাজপুত্র Pentewere ছিল...যে তার বাবাকে সরিয়ে তার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হতে চেয়েছিল... আবার কেউ কেউ ধারণা করেন এটি মিসরীয় কোন প্রশাসকের ছিল যে দেশের বাইরে মারা গিয়েছিল এবং তাকে সমাধিস্থ করতে এই অবস্থায় দেশে পাঠানো হয়েছিল। কেউ কেউ তার অদ্ভুত ধরণের মমিকরণের প্রক্রিয়া দেখে ধারণা করেন... এই মমিকৃত যুবকটি আদৌতে মিসরীয় ছিল না বরং সে শত্রু কূল Hittie গোষ্ঠীর লোক ছিল... যার জীবনাবসান হয় মিশরের মাটিতে এসে... এ সবই ধারণা... আজ পর্যন্ত রহস্য থেকে গেছে এই “Man E” তথা “Screaming Mummy” র আসল পরিচয় !!!
3. Ever Burning Lamps:
একটু কল্পনা করেন তো… এক বদ্ধ সমাধির মধ্যে কিছু বাতি, জ্বালানী ছাড়াই প্রজ্বলিত অবস্থায় রয়েছে হাজার বছর ধরে?? হ্যাঁ রয়েছে...মধ্য যুগে পৃথিবীর কিছু কিছু জায়গায় যেমন গ্রীস, ইটালি, চীন , ভারত, ফ্রান্স, লন্ডন এবং এরকম আরও কিছু জায়গায় কিছু রহস্যমণ্ডিত জ্বালানীবিহীন বাতি আবিষ্কৃত হয়েছিল... যা সমাধিক্ষেত্রগুলো আলোকিত করে রাখত। এগুলো প্রায় ২০০০ বছর ধরে ঠিক একই অবস্থায় এবং অবস্থানে জ্বালানী ছাড়াই প্রজ্বলিত... ভাবতে পারেন??? ধারণা করা হত এই বাতিগুলো সমাধিতে দাওয়া হয়েছিল... যাতে করে সমাধিস্থ মৃত ব্যাক্তিরা তাদের পরবর্তী জীবনের পথ সহজ ভাবে খুঁজে পেতে পারে!! কিছু কিছু সমাধি অনেক অনেক বছর পর আবার অনুসন্ধানের জন্য খুলে দেখা হলে সেই বাতিগুলোকে সদা প্রজ্বলিত অবস্থাতেই পাওয়া যেত। কিছু কিছু মানুষ এই ঘটনার সম্মুখীন হয়ে ভীত হয়েছে একে পাগান পুরোহিতদের ছল চাতুরী ভেবে। কেউ কেউ আবার বিশ্বাস করেন... এটা সম্পূর্ণ রুপে শয়তান পরিপুষ্ট কাজ..... হিব্রু জনগোষ্ঠীর লোক বহু আগে এক প্রযুক্তি আবিষ্কার এবং সংরক্ষণ করে রেখেছিল... তাদের সেই আদিম প্রযুক্তির নব্য রূপ আজকের ELECTRICITY.. ঐতিহ্য এবং গুপ্ত ইতিহাস বলে ফ্রেঞ্চ একজন ইহুদী পুরোহিত, Jechiele এক ধরণের বাতি আবিষ্কার করে যা কোন কিছুর সাহায্য ছাড়া জ্বলতে সক্ষম ছিল... এমনকি যা প্রজ্বলন করতে জ্বালানীরও প্রয়োজন পড়ত না... আজকের দিনে বিদ্যুৎ অত্যন্ত সাধারণ জিনিস হলেও তো প্রশ্ন থেকে যায় শেষ পর্যন্ত... কিভাবে এই বাতিগুলো হাজার হাজার বছর ধরে কোন বদ্ধ জায়গায় জ্বালানী বিহীনভাবে নিরবিচ্ছিন্নতার সাথে জ্বলায়মান ???
4. Panxian Caves:
Panxian Dadong প্রস্তর সময়ে চুনাপাথরে নির্মিত বড় গহ্বর... যা পশ্চিম Guizhou উপত্যকা, দক্ষিণ China তে অবস্থিত। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬৩০ মিটার উচ্চ উপত্যকাই অবস্থিত। ধারণা করা হয়, ৩০০০০০ বছর আগে এই Panxian Cave এ মানুষ বাস করত এবং সাথে বৃহদাকার জন্তু জানোয়ার ও। এই গহ্বরে এশিয়া অঞ্ছলের সবচেয়ে প্রাচীন জনগোষ্ঠী থাকত বলে ধারণা করা হয়... প্রাগৈতিহাসিক ডিপোজিট এর নমুনা দেখে ধারণা করা হয় এখানে হাতি সদৃশ Stegodon এবং বৃহদাকার গণ্ডার প্রজাতিভুক্ত প্রাণীর বসবাস ছিল। এই Panxian Cave এ খোঁড়াখুঁড়ির পরে, আনুমানিক ৪০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী , প্রস্তর নমুনা, মানুষের দাঁত এবং অন্যান্য প্রাণীর দাঁত পাওয়া গেছে। যদিও গণ্ডার বা হাতি প্রজাতি ভুক্ত কোন প্রাণীর পক্ষে গুহা বা গহ্বর জাতীয় কোন জায়গায় থাকা সম্ভব নয়... তাহলে তাদের অবশিষ্টাংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এত উঁচু কোন গহ্বরে আসলো কোথায় থেকে??? এই প্রশ্নের উত্তর কিছু কিছু বিজ্ঞানী এভাবে দিয়েছেন... “হয়ত কোন মাংসাশী প্রাণীর শিকার রূপে তারা এই গহ্বরে এসেছিল”... তার পরেও এই জায়গা আজও রহস্যমণ্ডিত??? কিভাবে এই বৃহদাকার প্রাণীগুলো এই গহ্বরে আসত আর তাদের পথ দেখিয়ে, শিকার বানিয়ে নিয়ে আসতই বা কারা???
5. Lady of the spiked throne:
Lady of the spiked throne সিন্ধু সভ্যতার এক রহস্যজনক নিদর্শনের নাম। ধারণা করা হয়... এটি খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ বছর আগেকার নিদর্শন। নিদর্শনটির মতে, একজন রাণী একটি ষাঁড়ের মাথা সম্বলিত নৌকা তথা রথে কাঁটাযুক্ত সিংহাসনে অধিষ্ঠিত। তার সাথে তার অনুগত দলভুক্ত মানুষকেও দেখা যায়... সব থেকে আশ্চর্য জনক ব্যাপার হল এসব মূর্তিতে বাদামের ন্যায় চোখের সাথে কিছুটা লম্বাটে মাথা এবং পাখির ঠোটের ন্যায় নাকের উপস্থিতি দেখা যায়। এই artifact টিতে ১৫ জন স্বতন্ত্র ছোট ছোট মূর্তি দেখা যায়... সামনের দিকে ১০ জন রয়েছে... আর রাণীর সাথে রয়েছে ৪ জন দেহরক্ষী হিসেবে। Italian একজন গবেষক Vidale র মতে, এই নিদর্শনটি সিন্ধু সভ্যতার ই... কিন্তু সিন্ধু সভ্যতাতে কখনও চার চাকার রথের সন্ধান পাওয়া যায় না... তাহলে এই Lady of the spiked throne এর অর্থ কি এবং তাকে বানানোর উদ্দেশ্যটাই বা কি??? আজও তা রহস্যে ঘেরা...!!!
6. Ancient Structure underneath sea of Gallilie:
২০০৩ সালে বিজ্ঞানীরা দুর্ঘটনা বশত একটি গোলাকার স্থাপনা আবিষ্কার করে Gallilie সমুদ্রের নিচে। ১০ বছর পরে, ভূ-পদার্থবিদ Shmuel Marco CNN কে এক তথ্য দেয়... যা একই সাথে চমকপ্রদ এবং আশ্চর্যজনক ছিল... সমুদ্রের তলদেশে তারা ব্রোঞ্জ যুগের সময়কার স্থাপনার আলামত পেয়েছে। অনেক নৃতত্ত্ববিদের মতে এটি প্রথমে সমুদ্র পৃষ্ঠে অবস্থান করত... যা কালক্রমে পানিতে তলিয়ে গেছে।এই স্থাপনাটি ব্যাসাল্ট পাথরে তৈরি এবং কোণ আকৃতির। এটি ১০ মিটার লম্বা এবং ধারণা করা হয় এর ওজন আপেক্ষিকভাবে ৬০০০০ টন। এর আকারের সাথে ২ টি সমসাময়িক Stonehenge এর তুলনা করা যেতে পারে। এর বয়স আনুমানিক ২০০০-১২০০০ বছর পর্যন্ত হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন। নৃতত্ত্ববিদ Dani Nadel কাকতালীয়ভাবে এই স্থাপনার সাথে এই এলাকারই একটি প্রাচীন সমাধি ক্ষেত্রের অন্ত্যমিল পেয়েছেন। Nadel এর তত্ত্ব মতে, এই স্থাপনাটি প্রাচীন কালে হয়ত মৃতদের অন্ত্যষ্টিক্রিয়ার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হত। আজ পর্যন্ত এই স্থাপনাটির তৈরির আসল উদ্দেশ্য এবং এর প্রকৃত সময়কাল জানা সম্ভব হয়নি!!
7. Hidden Shoes in Egyptian Temple:
মিসরীয় সভ্যতার প্রাচীন কোন মন্দিরে কয়েক জোড়া প্রাচীন জুতো পাওয়া গেছে..এবং তা লুক্কায়িত অবস্থায়....শুনতে কেমন লাগছে...রহস্যজনক না?? হ্যাঁ এরকম ৭ জোড়া জুতো পাওয়া গেছে Luxor, প্রাচীন শহর Thebes এর একটি মন্দিরে... যার মধ্যে ২ জোড়া ছিল বাচ্চার জুতো!! এই জুতো গুলো আবিষ্কার করা হয় একটি বন্ধ করা জার এর মধ্যে... যা মন্দিরের দেয়ালের ফাটলসদৃশ গর্তে লুকানো ছিল এবং এগুলো ২০০০ সালের পুরনো। জুতো গুলোর মধ্যে ৬ টি প্রত্যেকটি একে অপরের সাথে মোটা সুতা জাতীয় জিনিস দিয়ে বাঁধা অবস্থায় একটি আলাদা বড় মানুষের জুতোর মধ্যে রাখা ছিল। এই জুতো গুলো কাপড়ের তৈরি ছিল... যা দেখে বিজ্ঞানীরা সহমত পোষণ করে এই জুতো গুলোর উৎসস্থল মিশর নয়, বরং বিদেশী... কারণ মিসরীয়রা স্যান্ডেল ব্যবহার করত !! ছোট জুতো গুলো থেকে আবিষ্কৃত একটি অংশ ”rand” এর উৎস স্থান Medieval Europe নির্দেশ করে... কারণ এই যন্ত্রটি প্রথম সেখানেই ব্যবহার হয়েছিল বলে মনে করা হয়। ধারণা করা হয়, জুতো গুলো মূলত কাদাটে পরিবেশে পড়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল... কিন্তু তা পাওয়া গিয়েছিল মিশরের শুষ্ক পরিবেশে !!!??!!! Andre Veldmeijer এর ধারণা মতে, এই জুতো গুলো সেই সময়ে অনেক ব্যয়বহুল ছিল... তাহলে এই জুতোগুলো মন্দিরের দেয়ালে রাখার অর্থই বা কি?? আর জুতোর মালিকই বা গেল কোথায় সেখান থেকে?? আর মিসরীয় সভ্যতার বাইরের এই জুতো আসলে কোথায় থেকে মিশরে এসেছিল?? এ সবই আজ অবধি রহস্যের ঘেরাটোপে রয়েছে !!
8. Baiae Tunnels:
প্রায় ২০০০ বছর আগে রোমে Baiae temple একটি আকর্ষণীয় জায়গা ছিল... এটি সবার মধ্যে পরিচিত ছিল অমরত্ব ক্ষমতায় বেষ্টিত কোন শক্তির স্থান হিসেবে এবং Hades এর কাছে যাওয়ার যাত্রাপথ হিসেবে। Hades গ্রীক পুরাণের পাতালের দেবতা। এটি মিনারেলের জায়গা হিসেবেও সুপরিচিত ছিল। বর্তমানে এর ধ্বংসস্তূপ রয়েছে। ১৯৬০ সালের দিকে Robert Paget এবং Keith Jones এই ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। সরু প্রবেশমুখে প্রবেশ করতে না পেরে অবশেষে তারা সরু একটি টানেলের আশ্রয় নেয়... এই টানেলে তারা volcanic গ্যাসের গন্ধ পায়। Paget খুঁজে পায়... এই টানেলটির মুখ সরু হলেও এটি পূর্ব থেকে পশ্চিম বরাবর এমন ভাবে তৈরি যা সূর্যোদয়ের সাথে জ্যামিতিক ভাবে সম্পৃক্ত। এই ঘটনা প্রমাণ করে, এই টানেলটি তৈরির সময় অনেক প্রাচীন নিয়ম কানুন মেনে চলা হয়েছিল... এই দুই জন টানেলটিতে কিছু নিচু জায়গাও আবিষ্কার করে যা টানেলে বাতি রাখার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হত। টানেলটির অনেক অংশ দেখে তারা এই ধারণাতে উপনীত হয়, এটি যারা তৈরি করেছিল...তারা এটিকে গুপ্ত রাখতে চেয়েছিল। এটিতে একটি বায়ু সঞ্চালনের ব্যবস্থাও দেখা যায়... যা একটি block করা জায়গায় তারা পেয়েছিল। আসল রহস্য টানেলটির আরও ভিতরে অপেক্ষা করছিল... তারা যখন খাঁড়া টানেলটির শেষ প্রান্তে পৌঁছায়, তারা দেখে একটি গরম পানির হ্রদ ভিতরে বহমান... এবং একটি পাথর খণ্ড সেই গরম পানিতে নিমজ্জিত যাকে দেখে মনে হয়েছিল, সেটি অন্ধকারের রাজ্যে অদৃশ্য হয়ে গেছে...এই ঘটনার পরে তারা সারমর্মে পৌছালো... Hades যদি কোথাও থেকে থাকে, তার কাছে যাওয়ার পথ হয়ত এখান থেকে শুরু হয়...!!! ১৯৬৫ সালে আরও দুইজন মানুষ Colonel David Lewis এর সহযোগিতায় এই জায়গায় আসে... এবং তারা এই অনুসিদ্ধান্তে এসে পৌছায় গরম পানির হ্রদ প্রকৃতপক্ষে এর ভূমিস্থ কোন volcanic chamber এর ফলে উৎপন্ন হওয়া গরম পানির ঝর্ণা। কিন্তু তারপরেও রহস্য থেকে গেছে... এই Baiae tunnels কারা তৈরি করেছিল এবং সত্যিকারে কি উদ্দেশ্যে এগুলো তারা বানিয়েছিল ???? The mystery is till now unsolved!!!
9.Antelope Springs Footprints:
১৯৬৮ সালের জুন মাসের ১ তারিখ, একজন amateur fossil hunter William J. Meister Sr. তার পরিবারকে নিয়ে ছুটি কাটাতে Antelope Springs এ গিয়েছিল। Meister তার fossil hunting jacket টি সঙ্গে করেই এনেছিলেন... এবং সেখানে গিয়ে সে Trilobite fossil এর সন্ধানে বের হন। এই Trilobite Fossil এর সন্ধানে গিয়ে সে জুতো সম্বলিত পদচিহ্ন পান... যার গোড়ালির অংশের ছাপ পায়ের অন্য অংশের তুলনায় স্পষ্ট। এই পদচিহ্নের নিচে সে ২ টি Trilobite Fossil ও খুঁজে পায়... Meister তা দেখে ধারণা করেন- যে ব্যাক্তিটির পায়ের ছাপ এটা... Trilobite গুলো তার পায়ের তলায় চাপা পড়েছিল বিধায় তাদের fossil ও সেখানে রয়ে গেছে! Meister যখন এই ফসিলগুলো বয়স নির্ধারণের জন্য পরীক্ষাগারে নিয়ে যান তখন দেখেন... Trilobite গুলো ৬০০ মিলিয়ন বছরের পুরনো... এবং এগুলো Middle Cambrian Wheeler Shale এ পাওয়া গিয়েছিল। এখন রহস্য হচ্ছে, Trilobite প্রাচীন সামুদ্রিক জীব ছিল...তাদের উপর চাপা দাওয়া সেই পদচিহ্ন আসলো কিভাবে??? এটি আজও রহস্যে ঘনীভূত হয়ে রয়েছে... এই পদচিহ্ন কার??
10. The Pyramid of Hellinikon:
ভাবুন তো একবার মিসরীয় সভ্যতা নয়, ইনকা সভ্যতা নয়... সুদূর ইউরোপে পিরামিডের সন্ধান পাওয়া গেছে!!!! শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এটি সত্যি... ইউরোপেও কিছু কিছু জায়গায় পিরামিড রয়েছে... যার মধ্যে ১৬ টি পিরামিডের অবস্থান গ্রীসে!! এই পিরামিডগুলোর মধ্যে সব থেকে বিখ্যাত যেটা-তার নাম... Hellinikon Pyramid in Argos. প্রাচীন গ্রীক ভূগোলবিদ Pausanias এর লেখাতে প্রথম এই পিরামিড গুলোর পরিচয় পাওয়া যায়। সে তার লেখাতে উল্লেখ করেছিল, এই পিরামিডের আশেপাশের কোন জায়গায় যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল... যার ফলে অনেক মানুষ নিহত হয়েছিল... যাদের সমাধিস্থ করতে এই পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল” A common tomb” হিসেবে. এই পিরামিডের বয়স প্রথম দিকে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দ ভাবা হলেও ৯০ দশকে পুনরায় গবেষণা করে দেখা যায় এগুলো তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ২৭২০ অব্দে... এই তথ্যের মতে, Hellinikon pyramid মিসরীয় সর্ব প্রাচীন পিরামিডের থেকেও প্রাচীনতম। রহস্য এর সময়কাল নয়... বরং রহস্য...কারা বানিয়েছিল এই পিরামিড?? আর আসলেই কোন উদ্দেশ্য সাধনে তারা এটিকে বানিয়েছিল??? আজ পর্যন্ত এই প্রাচীন রহস্যের ধাঁধা কেউ সমাধান করতে পারেনি... !!!!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন