প্যারিস মানেই আইফেল টাওয়ার তাই এই টাওয়ার নিয়ে নানা রকম আশ্চর্য তথ্য

রাতের আইফেল টাওয়ার অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর, তবে তার জন্য ফ্রেঞ্চদের কম খরচ করতে হয় না!
প্যারিসের আকাশে তাকালে যে জিনিসটা দিনে বা রাতে নজরে আসে, তা হল আইফেল টাওয়ার। প্যারিস মানেই তাই আইফেল টাওয়ার। আইফেল টাওয়ার নিয়ে নানা রকম আশ্চর্য তথ্য আছে। তবে সেগুলো বেশ পুরাতনই বলা যায়।
প্রতিবছর 30 মিলিয়ন মানুষ প্যারিসে আইফেল টাওয়ারে যান এবং সাত লাখ দর্শক এই স্মৃতিস্তম্ভে আরোহণ করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে আইকন টেমপ্লেটগুলির মধ্যে একটি
তবে আজ যেটা বলব, সেটা শুনলে অবাক হবেন, আবার কিঞ্চিত মেজাজ খারাপ হওয়াও আশ্চর্য নয়! ১৮৮৯ সালের ৩১ মার্চ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় আইফেল টাওয়ার। কিন্তু তাঁর আগে বলাই বাহুল্য যে দীর্ঘসময় যাবত চলে এর নির্মাণ কাজ, প্যারিসের বুকে একটু একটু করে মাথা তুলে দাঁড়ায় ফ্রান্সের গর্ব এই লৌহনির্মিত টাওয়ার। ১৮৮৭ সালে শুরু হয় এর নির্মাণ কাজ, ৩০০ শ্রমিক অংশ নেয় সেই নির্মাণ যজ্ঞে। গুস্তাভো আইফেল নির্মিত ৩২০ মিটার তথা ১০৫০ ফুট উচ্চতার এই টাওয়ারটি টানা ৪০ বছর ছিল পৃথিবীর সবচাইতে উঁচু টাওয়ার। চলুন, দেখে নিই কিছু অসাধারণ ছবি, যেগুলো আপনাকে একটা ধারণা দেবে যে কীভাবে প্যারিসের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল এই নয়নাভিরাম স্থাপত্য।
তবে তার আগে আসুন, জেনে নি আইফেল টাওয়ার এর বিষয়ে কিছু প্রাথমিক তথ্য।

শা দে মারস থেকে দৃষ্ট ইফেল টাওয়ার।
আইফেল টাওয়ার ছিল বিশ্বের উচ্চতম ভবন ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত.

১০ সেপ্টেম্বর ১৮৮৯
টমাস এডিসন এই তোরণটি পরিদর্শন করেন। তিনি নিম্নলিখিত বার্তাটি লিখে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন, “শ্রদ্ধা জানাই সেই সাহসী প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকৌশলী এম আইফেলের প্রতি আধুনিক প্রকৌশলের নিদর্শনস্বরূপ এই বিশাল ও মৌলিক সৃষ্টির জন্য যিনি টমাস এডিসন, বন ডিউ এর মত বিশ্ববিখ্যাত প্রকৌশলীসহ সকল প্রকৌশলীদের জন্য গর্বের এবং মর্যাদার”।
The start of the erection of the metalwork. |
১৯১০ ফাদার থিওডর উলফ টাওয়ারের পাদদেশ এবং চূড়ার বিকিরিত শক্তি পরিমাপ করেন যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি ছিল এবং কসমিক রশ্মি(Cosmic Ray) তখনই প্রথম আবিষ্কার হয়।
৪ ফেব্রুয়ারি ১৯১২ ফ্রাঞ্জ রেইচেল্ট নামক একজন ফরাসি দর্জি তার নিজের তৈরী প্যারাস্যুট নিয়ে আইফেল টাওয়ারের ৬০ মিটার উচ্চতা থেকে লাফিয়ে পড়েন এবং মৃত্যু বরণ করেন।
7 December 1887: Construction of the legs with scaffolding. |
১৯১৪ টাওয়ারে অবস্থিত একটি রেডিও ট্রান্সমিটার মার্নের প্রথম যুদ্ধের (The First War of Marne) সময় জার্মান বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
১৯২৫ ভিক্টর লাস্টিগ নামক একজন শিল্পী টুকরো ধাতব হিসেবে টাওয়ারটি বিক্রি করেন দু’টি ভিন্ন কিন্তু সম্পর্কিত সময়ে।
20 March 1888: Completion of the first level. |
১৯৩০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে ক্রাইসলার ভবন তৈরী হবার পর আইফেল টাওয়ার পৃথিবীর সর্বোচ্চ কাঠামোর মর্যাদা হারায়।
১৯২৫-১৯৩৪ টাওয়ারের চারদিকের তিন দিকেই "সিত্রোয়াঁ"(Citroen)’’ মোটর গাড়ির জন্য আলোক সজ্জিত করা হয় যা সেই সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় স্থাপিত বিজ্ঞাপন চিত্র ছিল।
15 May 1888: Start of construction on the second stage. |
১৯৪০-১৯৪৪ প্যারিস জার্মানির অধিনস্ত থাকাকালীন ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে ফরাসিরা টাওয়ারের লিফটের তার কেটে ফেলে। ফলস্বরূপ এডলফ হিটলারকে পদব্রজে চূড়ায় উঠতে হয়েছিল। তখন এমনটি বলাবলি হতো যে হিটলার ফ্রান্স বিজয় করলেও আইফেল টাওয়ার বিজয় করতে পারেন নি।
![]() |
নির্মানাধীন আইফেল টাওয়ার, জুলাই ১৮৮৮ |
- ৩ জানুয়ারি ১৯৫৬ টাওয়ারের ঊর্ধভাগ আগুনে পুড়ে বিনষ্ট হয়।
- ১৯৫৭ বর্তমান রেডিও অ্যানটিনাটি টাওয়ারের শীর্ষে স্থাপন করা হয়।
- ১৯৮০ টাওয়ারের মধ্যবর্তী উচ্চতায় রেস্তোরাঁ এবং তা তৈরীতে দরকারি লৌহগুলো খুলে পৃথক করে রাখা হয়। নিউ অরলিনস, লুসিয়ানায় এসব পুণঃস্থাপন করা হয়।
৩১ মার্চ ১৯৮৪
রবার্ট মরিয়ার্টি টাওয়ারের বৃত্তাকার অংশ দিয়ে একটি ‘বিচক্রাফ্ট বনানজা’(‘’Beechcraft Bonanza’’) উড়ান।[১৩]
১৯৮৭
এ. জে. হ্যাকেট আইফেল টাওয়ারের শীর্ষ থেকে প্রথমবারের মত ‘বাঙ্গী লম্ফন’(‘’bungee jumps’’) করেন, ভূমিতে পৌছানোর পর তিনি প্যারিস পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হন।
26 December 1888: Construction of the upper stage. |
২৭ অক্টোবর ১৯৯১
থিয়েরী ডিভক্স টাওয়ারের দ্বিতীয় স্তর অনেকগুলো বাঙ্গী লম্ফন করেন যা অননুমোদিত ছিল। প্রশাসনিক লোক পৌঁছানোর আগেই তিনি ছয়টি লম্ফন করেছিলেন।
১৪ জুলাই ১৯৯৫
জিন মাইকেল জার ‘’Concert For Tolerance’’ নামক একটি কনসার্টের আয়োজন করেন ইউনেস্কোকে (UNESCO) সহায়তা করার জন্য। সেখানে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ উপস্থিত ছিল।
১৯৯৯
আইফেল টাওয়ারে প্যারিসের সহস্র বর্ষ উদযাপিত হয়। এই উপলক্ষে অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ টাওয়ারটি আলোকোজ্জ্বল করা হয়।
15 March 1889: Construction of the cupola.
২৮ নভেম্বর ২০০২
টাওয়ারে ২০০,০০০,০০০ তম অতিথি আগমন করে।
২২ জুলাই ২০০৩
টাওয়ারের সম্প্রচার কক্ষে আগুন ধরে যায়। ৪০ মিনিট পর সম্পূর্ণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
২০০৪
টাওয়ারের প্রথম স্তরে স্কেটিং খেলার আয়োজন শুরু করা হয়।
![]() |
সূর্যোদয়ের সময় আইফেল টাওয়ারের দৃশ্য। |
২০০৮
ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয়বারের মত সভাপতিত্ব পাওয়ায় ইফেল টাওয়ারে ১২টি দেশের পতাকা লাগানো হয় এবং নীল আলোয় সম্পূর্ণ ডুবিয়ে দেয়া হয়।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০
সম্ভব্য বোমা হামলার আশঙ্কায় আইফেল টাওয়ার দর্শকদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। অণুসন্ধান চালিয়ে কোন বোমা পাওয়া না যাওয়ায় পরদিন আবারো তা খুলে দেয়া হয়।

১. ৩১শে মার্চ ১৮৮৯ সালে এটা উদ্বোধন করার পরে ৪১ বছর ধরে এটা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মনুষ্য নির্মিত স্থাপনা।
২. এটি ১০৬২ ফিট উঁচু এবং এর ওজন ১০,১০০ টন।
৩. সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা সম্ভব। তবে ১৬০০ ধাপ বেয়ে ওঠার কথা ভাবলেই মনে হয় সবার জ্বর আসে। লিফট আছে, তাই আর কাউকে এত কষ্ট করতে হয় না।


৪. ভিক্টর লুস্টিগ নামে এক জালিয়াত বোকা ক্লায়েন্ট পেয়ে পুরো আইফেল টাওয়ার লোহার ওজন দরে বেচে দিয়েছিল। তাও একবার না, দুবার।
৫. চালু হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই টাওয়ারে ২৫ কোটি মানুষ গিয়েছে। সংখ্যাটা বাংলাদেশের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি।

রাতের আইফেল টাওয়ার এক অসাধারণ সুন্দর জায়গা।
৬. ২০০৮ সালে এক মহিলা এই টাওয়ারকে বিয়েই করে বসেন। এর পরে নিজের নাম বদলে রাখেন এরিকা লা টাওয়ার আইফেল!
৭. ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার আর আইফেল টাওয়ার এর মাঝে একটা মিল আছে, দুজনকেই ডাকা হত দ্য আইরন লেডি!
৮. আইফেল টাওয়ারে ২০,০০০ এর চেয়েও বেশি লাইট বাল্ব আছে। এগুলোর ফলে টাওয়ারটা সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত আলোয় জ্বল জ্বল করতে থাকে।
![]() |
আইফেল টাওয়ারের উপর বজ্রাপাতের দৃশ্য, ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে তোলা আলোকচিত্র। |
Lightning striking the Eiffel Tower, June 3, 1902, at 9:20 P.M. This is one of the earliest photographs of lightning in an urban setting In:"Thunder and Lightning", Camille Flammarion, translated by Walter Mostyn Published in 1906.
৯. পিয়েরে ল্যাব্রিক ১৯২৩ সালে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে সাইকেলে করে পুরো টাওয়ারটার উপর থেকে নিচে নেমেছিলেন। বাজিতে জিতলেও তাকে খেতে হয় জেলের ভাত।
১০. টাওয়ারের নাম করা হয়েছে এর আর্কিটেক্ট গুস্তাভ আইফেল এর নাম অনুসারে।
১১. টাওয়ার মেনটেনেন্স ও অন্যান্য খরচের জন্য প্রতি বছর খরচ হয় ১১ লক্ষ ডলার এর সমপরিমাণ অর্থ।
![]() |
Picture taken from the highest Eiffel Tower platform. June, 2005. Patrícia J |
এসব তো গেল নিয়মিত কথা-বার্তা, এবারে আসি যেটার জন্য ঝুলিয়ে রেখেছি এতক্ষণ ধরে। ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে এই টাওয়ারকে সারা রাত আলোকিত রাখতে ব্যবহার করা হয় ২০,০০০ এর চেয়েও বেশি লাইট বাল্ব। এর ফলে প্রতিদিন ওখানে খরচ হয় ২২ মেগাওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ। এই লাইট বাল্ব গুলো আগের যুগের টাংস্টেন বাল্ব। তার মানে বিশ হাজার টাংস্টেন বাল্ব এর বদলে এলইডি লাইট জ্বালালে এক লক্ষ এলইডি লাইট জ্বালানো যাবে। প্রতি পরিবারে চারটা করে বাল্ব ধরলে বিশ হাজার বাংলাদেশি পরিবারের আলো ফ্রেঞ্চরা এই একটা টাওয়ারেই খরচ করে!

ফ্রান্সের ৫৮টা নিউক্লিয়ার পাওয়া স্টেশনের একটা। ছবি: সংগৃহীত।
ফ্রান্সে রয়েছে ৫৮ টা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট। সেখান থেকে তারা ৬৩.২ গিগা-ওয়াট পরিমাণ বিদ্যুৎ তৈরি করে। সুতরাং আমরা ধারনা করতেই পারি, তাদের হাতে যথেষ্ট পাওয়ার আছে!
![]() |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের পর আইফেল টাওয়ার তোলা ছবি, জুন ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে। |
ভ্যালেন্টাইন গিফট হিসেবে বিক্রি হবে আইফেল টাওয়ারের বাতি!

আলোকোজ্জ্বল আইফেল টাওয়ার। ছবি: সংগৃহীত
ভ্যালেন্টাইনস ডে, প্রেমিক যুগলের একান্ত নিজস্ব একটি দিন। যারা মনের কথাটি এখনো বলে উঠতে পারেননি, তারা ভাবছেন এবারই জানিয়ে দেবেন কথাটা। আর যারা ইতোমধ্যেই চুটিয়ে প্রেম করছেন তারাও ভাবছেন নতুন কী করে চমকে দেওয়া যায় প্রিয় মানুষটিকে। আপনি যাই করতে যান না কেন উপহার কিন্তু চাই-ই চাই। আর আপনার উপহার ভাবনাকে চমকে দেবে প্রেমের নগরী প্যারিসের আইফেল টাওয়ার কর্তৃপক্ষের অভিনব উদ্যোগ।
বিশ্বের সবচেয়ে রোমান্টিক শহর হিসেবে খ্যাত প্যারিস। আর এই খ্যাতির সাথে জড়িয়ে আছে আইফেল টাওয়ার। প্রতি রাতে ২০ হাজার বাতির উজ্জ্বল আলোয় ঝলমল করে ওঠে প্রাচীন এই টাওয়ারটি। কেমন হয় যদি প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া যায় এই ২০ সহস্র বাতির একটি? ভাবছেন সেও কি সম্ভব? আইফেল টাওয়ার কর্তৃপক্ষ এবার নিজেই করে দিচ্ছে সেই সুযোগ। প্যারিসের এক টুকরো দ্যুতি আপনি এনে দিতে পারবেন ভালোবাসার মানুষটির হাতে।

হীরক বাতি। ছবি- সংগৃহীত
ভ্যালেন্টাইনস ডে’র উপহার হিসেবে বিক্রয় হবে আইফেল টাওয়ারের ৪৫০টি বাতি। আইফেলের ঐতিহ্যাবাহী এই অলংকার পাওয়া যাবে ‘হীরক বাতি’ নামে। মূল টাওয়ার থেকে খুলে বাতিগুলো একটি প্রতীকী আইফেল টাওয়ারে লাগানো হয়েছে।
পারস্য ইতিহাসের অংশ হীরক বাতিগুলোর প্রতিটির মূল্য ধরা হয়েছে ৬৬৯ ডলার (শুল্ক ছাড়া)। বাতিগুলোর সাথে অবশ্যই থাকবে সত্যতার দলিল। কেরেন জর্জেসের ১৯৮৯ সালের ইউনিভার্সাল এক্সপোতে আইফেল টাওয়ারের খোদাই করা শিল্পকর্মটির একটি প্রিন্ট কপিও থাকবে প্রতি বাতির সাথে।
সব মিলিয়ে এই উপহার এতটাই অনন্য যে হয়ত প্রেমিক হৃদয় ভাবতেও পারেননি এর কথা। আর সব উপহারকে ম্লান করে দেবে আইফেলের হীরক বাতির উজ্জ্বলতা, এমনটাই ধারণা করছেন আইফেল কর্তৃপক্ষ।
আইফেল টাওয়ার ‘সবুজ গাছে’ পরিণত
ফ্রান্সের রাজধানীতে জলবায়ু সম্মেলনের উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার আইফেল টাওয়ার ‘কার্যত সবুজ গাছে’ পরিণত হয়েছে। সারাবিশ্বে বনায়নের সর্মথনে এমনটি করা হয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন ও অস্কার বিজয়ী ফরাসি অভিনেত্রী ম্যারিয়ন কোশিলার্দ সপ্তাহব্যাপী ‘এক হৃদয় এক গাছ’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পের আওতায় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা আইফেল টাওয়ারে গাছ স্থাপনের সুযোগ পান।
প্রকল্পের ডিজিটাল আর্টিস্ট নাজিহা মিসতাউ বলেন, ‘প্রত্যেকে আইফেল টাওয়ারে কার্যত একটি গাছ স্থাপন করতে পারবেন। এটা তাদের হৃদয়কে জাগরিত করবে এবং এই ভার্চুয়াল ট্রি প্রকৃতপক্ষে বনায়ন কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা একটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে লাইটিং ও ম্যাপিং প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি গাছের ছবি, তাদের নাম ও একটি সংক্ষিপ্ত বার্তার প্রতিবিম্ব টাওয়ারের ওপর ফেলেন।
২০১৬ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, সেনেগাল, ভারত, ফ্রান্স, পেরু ও আইভরি কোস্টের বিভিন্ন এলাকায় বনায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
প্যারিসে সোমবার পনের দিনব্যাপী জলবায়ু সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এতে অংশ নিতে প্রায় ১৫০ দেশের নেতৃবৃন্দ এখানে এসে পৌঁছেছেন। এ প্রেক্ষাপটে আইফেল টাওয়ারকে গাছে পরিণত করার এ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন