পৃথিবীর সবচেয়ে নির্জনতম স্থান যেখানে মানুষের বাস -
পৃথিবীর সবচেয়ে নির্জনতম স্থান যেখানে মানুষের বাস --
এটি দক্ষিন আটলান্টিক মহাসাগরে আগ্নেয়গিরি সম্বলিত একটি দ্বিপ রাস্ট্র। বেশ কয়েকটি দ্বিপ নিয়ে রাস্ট্রটি গঠিত। এটি একই সাথে ইংল্যান্ডে এর রানির আন্ডারে একটি রাজ্য। এখানে রিতিমত আস্ত একটি সরকারও আছে। সরকার প্রধান অবশ্য রানির নিযুক্ত এজন গভর্নর। এবং সকল বৈদেশিক এবং রাস্ট্রিয় কার্যক্রম চলে ইংল্যান্ডের একক সিদ্ধান্তে । তবে এটি পুরোপুরি কিন্তু একটি স্বাধিন দেশ।
তার মানে হচ্ছে এখানে যারা থাকেন তারা পুরোপুরি পৃথিবীর সকল অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন। কারন এখানে কোন বিমান বন্দর নেই। একটা ছোট সমুদ্রবন্দর আছে। যেখানে বাহিরের কোন জাহাজ মাঝে মধ্যে বিপদে পরলে এসে আশ্রয় গ্রহন করেন। পুরো দেশটির অর্থনিতি প্রধানত মাছ এবং কৃষির উপর নির্ভশিল। তবে এখানে বৈদেশিক বানিজ্য একেবারেই হয় না। কারন যোগাযোগের সমস্যা। মুলত কোন পন্য আনতে হলে নিকটস্থ দেশ সাউথআফ্রিকা থেকে জাহাজে করে প্রায় ২৪০০ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে আনতে হয়। সরকারি মালিকানায় দুইটা জাহাজ আছে যা নিয়মিত সাউথআফ্রিকার উপকুলিয় শহর কেপটাউন পর্যন্ত আসা যাওয়া করে । তবে সেটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এই যোগাযোগের কারনে এখানে টুরিস্টরাও যেতে চান না। যারা যান তাদের হাতে প্রচুর সময় থাকতে হবে। আর এত সময় কার হাতে থাকেন বলুন। তবে আপনি যদি পুরো পৃথিবী থেকে একেবারে হারিয়ে যেতে চান তবে এখানে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই।
মারাত্মক বিষয় হচ্ছে কিছুদিন আগে এখানকার সমুদ্র উপকুল থেকে বিশাল একটি তেল ক্ষেত্র আবিস্কার করেছে ইংল্যান্ড কর্তৃপক্ষ যেটা থেকে প্রচুর পরিমান তেল উৎপাদন এর আশা করছে তারা। তবে তার পরও এখানে বসবাস কারির সংখ্যা কিছুতেই বারাতে পারেনি । প্রধান কারন হচ্ছে যোগাযোগ। যারা বসবাস করছে তারা অধিকাংশই বংশ পরম্পরায় থাকছেন। আমার কাছে একটা বিষয় ভালো লেগেছে এদের বাড়িগুলো এবং সাজানো গোছানো প্রকৃতি। আমার ইচ্ছে আছে কোন এক সময় এই স্থানটাতে ঘুরে আসার।
২০১৫ সালে এখানে সর্বোমোট বসবাসকারির সংখ্যা পাওয়া গেছে ৩০২ জন। সর্বমোট জমির পরিমান হচ্ছে ২০৭ বর্গ কিলোমিটার। মানে প্রতি ১.৪ বর্গকিলোমিটারে একজন করে মানুষ বাস করে। তবে এটি নির্জনতম স্থান হওয়ার আর একটা কারন আছে। এই দ্বিপ রাস্ট্রটি থেকে কাছাকাছি কোন দেশ বা সমুদ্র উপকুল এর দুরত্ব হচ্ছে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার। তাও সেটাও আর একটা দ্বিপ। আর মোটামুটি সবচেয়ে কাছের পরিপুর্ন দেশ হচ্ছে সাউথআফ্রিকা যার দুরত্ব ২৪০০ কিলোমিটার।
তার মানে হচ্ছে এখানে যারা থাকেন তারা পুরোপুরি পৃথিবীর সকল অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন। কারন এখানে কোন বিমান বন্দর নেই। একটা ছোট সমুদ্রবন্দর আছে। যেখানে বাহিরের কোন জাহাজ মাঝে মধ্যে বিপদে পরলে এসে আশ্রয় গ্রহন করেন। পুরো দেশটির অর্থনিতি প্রধানত মাছ এবং কৃষির উপর নির্ভশিল। তবে এখানে বৈদেশিক বানিজ্য একেবারেই হয় না। কারন যোগাযোগের সমস্যা। মুলত কোন পন্য আনতে হলে নিকটস্থ দেশ সাউথআফ্রিকা থেকে জাহাজে করে প্রায় ২৪০০ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে আনতে হয়। সরকারি মালিকানায় দুইটা জাহাজ আছে যা নিয়মিত সাউথআফ্রিকার উপকুলিয় শহর কেপটাউন পর্যন্ত আসা যাওয়া করে । তবে সেটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এই যোগাযোগের কারনে এখানে টুরিস্টরাও যেতে চান না। যারা যান তাদের হাতে প্রচুর সময় থাকতে হবে। আর এত সময় কার হাতে থাকেন বলুন। তবে আপনি যদি পুরো পৃথিবী থেকে একেবারে হারিয়ে যেতে চান তবে এখানে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই।
মারাত্মক বিষয় হচ্ছে কিছুদিন আগে এখানকার সমুদ্র উপকুল থেকে বিশাল একটি তেল ক্ষেত্র আবিস্কার করেছে ইংল্যান্ড কর্তৃপক্ষ যেটা থেকে প্রচুর পরিমান তেল উৎপাদন এর আশা করছে তারা। তবে তার পরও এখানে বসবাস কারির সংখ্যা কিছুতেই বারাতে পারেনি । প্রধান কারন হচ্ছে যোগাযোগ। যারা বসবাস করছে তারা অধিকাংশই বংশ পরম্পরায় থাকছেন। আমার কাছে একটা বিষয় ভালো লেগেছে এদের বাড়িগুলো এবং সাজানো গোছানো প্রকৃতি। আমার ইচ্ছে আছে কোন এক সময় এই স্থানটাতে ঘুরে আসার।




মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন